এক দম্পতির অদ্ভুত প্রেমের কাহিনী শুনুন

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ নিক হুইলার আর অ্যামি মেইডেন নামের যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতি সাম্প্রতিক বিয়ে করেছেন। কিন্তু মজার বিষয়টি হলো আজ থেকে কুঁড়ি বছর আগে কোনো এক ছুটির দিনে কর্ণওয়েলের সৈকতের বালুকাবেলায় তাদের দুইজনের দেখা হয়েছিল যদিও তারা একে অপরকে চিনতেন না এমনকি তাদের পরিবারও তাদের অপরিচিত ছিল। এই বিষয়টি আবিষ্কৃত হয় নিক হুইলারের শৈশবের একটি ছবি থেকে।


কেন্টে তার পরিবারের সাথে বসবাস করা নিক হুইলার মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতেন কর্ণওয়েলে তার দাদার বাড়িতে। তার দাদার বাড়ির খুব কাছাকাছিই ছিল একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকত। প্রতিবছর সামারের হলিডেতে নিক তার পরিবারের সাথে এখানে বেড়াতে আসতেন। আর এখানে বেড়াতে আসা মানেই সমুদ্র দেখতে যাওয়া। সেবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিক ও তার পরিবার, তার চাচাতো ভাইবোন, তাদের পরিবারসহ সবাই মিলে বেড়াতে গিয়েছেন কর্ণওয়েলের সমুদ্র সৈকতে। এবারে সেই সৈকতে বেড়াতে এসেছে অ্যাামি মেইডেন এবং তার পরিবার, অ্যামিদের আবাসস্থল এই কর্ণওয়েল শহরেই। নিক তার চাচাতো ভাইবোনের সাথে মিলে একটি বালুর নৌকা বানালো তারা সেখানে বসে মজা করছিল। তখন তার দাদা মনে করলেন এই সুন্দর মুহুর্তটিকে ফ্রেমবন্দী করে রাখা দরকার তাই তিনি তাদের সবার একটি ছবি তুললেন। কাকতালীয় এই যে, সেই ছবিতে আটকে গেল অ্যামি মেইডেন। কিছু দূরে বসে সে তার চাচাতো ভাইবোনদের সাথে মিলে বানাচ্ছিল একটি বালুর ক্যাসেল। ছোট্ট সেই অ্যামি কখনো জানতে পারেনি তার ভবিষ্যৎ জীবনের ভালবাসার মানুষটি তার কত কাছেই না ছিল! আর নিক হয়তো অনেকবারই এই ছবিটি দেখেছে কিন্তু কখনো ভাবতেই পারেনি তার প্রিয় মানুষটি তার সাথেই রয়েছে। তারপর কেটে গেল প্রায় ২০ বছর। অনেকগুলো সামার চলে গিয়েছে। ছোট্ট সেই নিক আর অ্যামি হয়ে গিয়েছে বড়। এতোদিন ছবির পাশে বসে থাকা সেই ছোট্ট অ্যামিকে হয়তো খেয়ালই করেননি নিক।

সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসেবে যোগদান করা নিক হুইলার আর গ্রেড স্কুলের শিক্ষিকা পদে যোগদান করা অ্যামি মেইডেন একে অপরের সাথে পরিচিত হয় কলেজে ভর্তি হওয়ার পর। কলেজ শেষ করে নিক চলে যান সেনাবাহিনীর কাজে আর অ্যামি তার স্কুলে। কিন্তু এই সামারে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা বিয়ে করবে গত শনিবার ১১ বছরের প্রেমের ইতি টেনে অ্যামিকে বিয়ে করেন নিক হুইলার। বিয়ের পর নিক তার অতীতের বিভিন্ন স্মৃতি আর ফটো অ্যালবাম দেখাতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় যে, আজ থেকে ২০ বছর আগে তারা একে অপরকে দেখেছিল। নিক তার দাদার তোলা সেই ছবিটি দেখানোর সাথে সাথে অ্যামি নিজেকে চিনে ফেলে। সে চিৎকার করে বলে, আরে এটাতো আমি!! উচ্ছ্বসিত অ্যামি আরো বলেন ‘তাদের পেছনেই বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে নীল সাঁতারের পোশাকে আমি ছিলাম’। তারপর পুরো ঘটনা একে অপরকে খুলে বলে। ১৯৯৪ সালে এ যুগলের ছবিটি যখন তোলা হয়, তখন তারা শত শত মাইল দূরে থাকতেন। কেউ কাউকে চিনতেন না।

এরপর কাকতালীয়ভাবে ১১ বছর পরে কলেজে পড়ার সময় তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তা পরিণয়েও রূপ নেয়। অবশেষে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে তারা বিয়ে করবেন। দীর্ঘ ২০বছর পর সেই একই জায়গায় কর্নওয়েলের মাউসহোলের গোলভাল চার্চে শনিবার বিয়ে করেছেন এই যুগল। ছবির সেই জায়গাটিতে তারা আবার একসঙ্গে ছবিও তুলেছেন।

Related Post

তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল

This post was last modified on আগস্ট ৩, ২০১৪ 4:49 পূর্বাহ্ন

K. A. B Tohin

Recent Posts

আইফোনের নতুন গেম ইমুলেটর ডেলটা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…

% দিন আগে

চমক দেখাতে আসছে ‘পুষ্পা-২’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…

% দিন আগে

পাহাড়ি রাস্তায় লাফিয়ে চলা মেয়েটির ছবিতে কী কী পরিবর্তন আছে তা বলতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…

% দিন আগে

সিলেটের সাদা পাথর: এক অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

গরমে করলার সঙ্গে কয়েকটি খাবার খেলে উপকার পাবেন না: কোন সেই খাবার?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…

% দিন আগে

হুমকির মুখে সফটওয়্যার এবং স্টার্টআপ খাতের উদ্যোগ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…

% দিন আগে