আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ আজ ১৫ আগস্ট জাতির জন্য এক শোকাবহ দিন। বাঙালির সবচেয়ে হূদয়বিদারক ও মর্মান্তিক দিন। ৩৮ বছর আগে এই দিনে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে দিনটি পালন করছে। সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগ এবং এর সঙ্গ সংগঠন মিলাদ মাহফিল, কোনআন খানি ও শোক সভার আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য দেশের মানুষের প্রতি আহ্‌বান জানিয়েছেন তাঁরা।

কি ঘটেছিল ১৯৭৫ এর এই দিনে

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সেদিন যে বীভৎস ঘটনা ঘটেছিল, তা স্মৃতিতে আনলে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট খুনিও বোধ হয় আঁতকে উঠবেন। সেদিন কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়ে পৈশাচিক পন্থায় ঘাতক দল রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। সেদিন ওই ভবনের প্রতিটি তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে, ছাদে রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। সে এক বিভৎস্য দৃশ্য। রক্তগঙ্গা বয়ে যায় পুরো বাড়িতে। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলো ঝাঁঝরা হয়ে যায় সেদিন। চারপাশে রক্তের সাগরের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে ছিলেন ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া চেক লুঙ্গি এবং সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর তলপেট এবং বুক ছিল বুলেটে ঝাঁঝরা। নিথর দেহের পাশেই পড়ে ছিল তাঁর ভাঙ্গা চশমা। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, টেলিফোন অপারেটর, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নিচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের ও মূল বেডরুমে দুই ভাবীর ঠিক মাঝখানে বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের লাশ। লুঙ্গিতে জড়ানো শিশু রাসেলের রক্তভেজা লাশ দেখে খুনিদের প্রতি চরম ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর হয়ে পড়ে মানবতাবাদী বিশ্বের প্রতিটি মানুষের।

Related Post

সেদিন দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সে সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানির কার্লসরুইয়ে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও বড় বোনের সঙ্গেই ছিলেন।

জাতি আজ এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে।

This post was last modified on আগস্ট ১৫, ২০১৪ 12:49 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

রাজবাড়ী বড় মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে

উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে নানা অপপ্রচার: সাবধান করেছেন সমন্বয়ক মাসউদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…

% দিন আগে

ইলন মাস্ককে এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের দায়িত্ব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…

% দিন আগে