দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্লাস্টিক আমাদের সমাজে এবং পরিবেশে নানান সমস্যার জন্য দায়ী। মূলত পরিবেশ দূষণ এবং নানান জলাবদ্ধতার জন্য প্রধান কারণ হিসেবে বর্তমান সময়ে প্লাস্টিককেই দায়ী করা হয়ে থাকে। আজ আমরা দেখব কিভাবে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দর এবং স্বাভাবিক ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার ছাড়াই সাজাতে পারি।
বর্তমান সময়ে প্লাস্টিক ব্যবহার এত বেড়ে গেছে যে রাস্তা ঘাতে যত্র তত্র অহরহ প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর এসব প্লাস্টিক বিভিন্ন নালা নর্দমায় পড়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং পরিবেশ উভয়ই নষ্ট করে দেয়। এক টুকরা প্লাস্টিক মাটির সাথে সম্পূর্ণ মিশে যেতে অসংখ্য বছর সময় নেয়। ফলে এখন সময় এসেছে আমাদের প্লাস্টিক ব্যবহার ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস গড়ার। চলুন জেনে নেই কিভাবে আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার বাদ দিতে পারি-
বাজারতো আমরা সব সময় করে থাকি, তো বাজারে যাওয়ার জন্য একটি বা দুটি নিয়মিত চটের ব্যগ কিনে ঘরে রাখলে যাই কিনি না কেন এক ব্যগেই এটে যাবে। আর দোকানদার সব পণ্য মেপে আপনার ব্যগেই দিয়ে দিলো। এতে দুই দিকেই লাভ, প্রথম প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার কমবে, দ্বিতীয়ত আপনার সব পণ্য এক সাথে একি ব্যাগে থাকবে ফলে বাজার হারানোর কিংবা কোথাও রেখে আসার ভয় থাকবেনা।
নিজের জন্য কিংবা পরিবারের জন্য বিপণী বিতান থেকে পোশাক কিংবা শপিং করা শেষে অবশ্যই বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য নেয়ার সময় বিক্রেতাকে অনুরধ করুন, আমার পণ্য কাপড়ের ব্যাগে দিন। প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতি। আপনার একটু চেষ্টা পারে আরেকজন মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে।
যদিও স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি বেবসা ফার্মেসী তাও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ফার্মেসীতে ওষুধ কিনলে তা ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগে দেয়া হয়। এভাবেই প্রতিদিন আপনার সাথে করে বাসায় চলে আসছে অসংখ্য প্লাস্টিক। তাই এখন থেকে ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনতে গেলে অবশ্যই কাগজের ব্যাগ চেয়ে নিবেন।
কিছু প্লাস্টিকের জিনিস কিংবা ব্যাগ রয়েছে যা আপনাকে ব্যবহার না করলেই নয়। এসব ব্যাগের কিংবা প্লাস্টিক পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করবেন পুনঃর ব্যবহার নিশ্চিত করতে। একবার ব্যবহার করে ফেলে না দিয়ে তাকে বার বার ব্যবহারের চেষ্টা করুন এতে অন্তত একি জিনিস নতুন নতুন ঘরে না এসে একটিই অনেক দিন ব্যবহার হল আর এতে প্লাস্টিকের নতুন ব্যবহার কিছুটা কমলো।
আপনার হাতে প্লাস্টিক ব্যবহার ছাড়া যদি আর কোনো উপায় না থাকে তবে আপনি ৪০ মাইক্রোনের কম প্লাস্টিকের ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সকল প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তবে ৪০ মাইক্রোনের কম প্লাস্টিক মাটির সাথে সহজে মিশে যায়না ফলে যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে ৪০ মাইক্রোনের বেশি প্লাস্টিকের ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
আমাদের দেশে অনেক কারখানা রয়েছে যেখানে দৈনিক অসংখ্য প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরি হচ্ছে, এছাড়াও বিদেশ থেকেও আনা হচ্ছে প্লাস্টিক। সরকার এবং আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা এসব কারখানা মাঝে মাঝে সিল গালা করলেও আবার তা তৈরি হচ্ছে, আর এর পেছনে মূল কারণ আমরা ব্যবহার করছি বলেই। চাহিদা আছে তাই উৎপাদন রোখা সম্ভব হচ্ছেনা। অথচ আমরা যদি নিজেরা একটু সচেতন হই প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে দিই তবে এর উৎপাদন এবং পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক নির্বাসনে পাঠাতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবেনা।
This post was last modified on নভেম্বর ১, ২০১৪ 2:59 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…