ওষুধ না খেয়ে নিজের হতাশা কমান

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ আপনি কি হতাশার মাঝে আছেন? জীবনের নানান কারণে সব কিছু নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন? ভাবছেন হতাশা কাটাতে কি ওষুধ খাওয়া যায়? ভুলেও হতাশা কাটাতে ওষুধ সেবন করবেন না। আজ আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে ওষুধ না খেয়েও হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেন।

মানুষ হতাশ হয় নানান কারণ। কেউ পারিবারিক, কেউ ব্যক্তিগত, কেউ শিক্ষা ক্ষেত্রে কিংবা কেউ কর্মক্ষেত্রের নানান বিষয় নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। আমরা চাইলে বিভিন্ন ওষুধ সেবন না করেও হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারি। কিভাবে? নিজেই জেনে নিন-

১) কেনো হতাশ তা খোঁজ করুন-

আপনাকে শুরুতেই খুঁজে দেখতে হবে আপনি কেনো হতাশ! অনেকেই হতাশার কারণ খুঁজে পান না। নিজে থেকেই মন খারাপ হয়ে থাকে কিংবা কি কারণে হতাশ না না বুঝেই হতাশায় ডুবে যেতে থাকেন। এমন অবস্থায় আপনার কোন কাজ ঠিক ভাবে হবেনা। আপনার অজানা হতাশার কারনে সব কাজেই আপনি ব্যর্থ হবেন। তাই এমন কোনও পরিস্থিতিতে পড়লে অবশ্যই নিজে ভাবুন ভেবে দেখার চেষ্টা করুন আপনি কেনো হতাশ কিংবা ঠিক কি কারনে হতাশ।

২) রুটিন তৈরি করুন-

নিজের হতাশা খুঁজে পেলে দৈনিক কাজের একটি রুটিন তৈরি করে নিন এবং সেভাবেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করতে থাকুন। আপনি যখন কিছু একটা নিয়ে নিয়মিত একটা রুটিনে ঢুকে যাবেন তবে অবশ্যই আপনার হতাশা হ্রাস পাবে, ব্যস্ততা আপনাকে হতাশা থেকে বাইরে নিয়ে আসবে।

৩) নিজের একটা লক্ষ্য স্থির করুন-

মানলাম আপনি এখন পারলেন না, কিন্তু এক সময় নিশ্চয় আপনাকে দিয়ে অনেক কিছুই সম্ভব, এর জন্য অবশ্যই শ্রম এবং লেগে থাকার মানসিকতা প্রয়োজন। হ্যা নিজের লক্ষ্য স্থির করে লেগে থাকুন। নিশ্চিত হতাশা জয় করে একদিন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে অধিষ্ঠিত হবেন।

৪) ব্যায়াম-

শরীরের দুর্বলতাও মানুষকে হতাশ করে তুলতে পারে। তাই অবশ্যই হতাশা কাটাতে নিজের শরীর ফিট রাখা জরুরী। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ভালো অনুভূতি পাবেন।

৫) স্বাস্থ্যকর খাবার-

স্বাস্থ্যকর এবং নিয়ম করে খাবার গ্রহন করুন এবং দৈনিক নিয়ম করে খাবার খেলে আপনার স্বাস্থ্য সুন্দর এবং ভালো থাকবে এতে করে সময় এবং জীবন সুন্দর হবে।

৬) ঘুম-

সারাদিনের কাজ শেষে নিয়ম করে ঘুমানোর প্রয়োজন, আপনি যখন নিয়ম করে সারাদিন কাজ করবেন দিন শেষে এমনিতেই ঘুম চলে আসতে বাধ্য। মনে রাখবেন রাত জাগ স্বাস্থ্য এবং মানসিকতার জন্য সবচেয়ে খারাপ প্রভাব নিয়ে আসে। রাত জাগার কারনেই আপনার মাঝে হতাশা তৈরি হতে পারে। তাই রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করুন।