গভীরতার বিচারে বাংলা উইকিপিডিয়ায় তৃতীয় ভাষা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গভীরতার বিচারে বাংলা ভাষা হচ্ছে উইকিপিডিয়ায় তৃতীয় ভাষা। রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এক সেমিনারে বাংলাদেশ সফররত উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস এসব তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেছেন, বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম নিবন্ধটি উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত হয় ১০ বছর আগে । ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামে ওই লেখাটির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় বাংলা উইকিপিডিয়ার। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ছিল বাংলা উইকিপিডিয়ার ১০ বছর পূর্তি। বর্তমানে উইকিপিডিয়ায় বাংলায় নিবন্ধসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। অপরদিকে নিবন্ধিত ব্যবহারকারী প্রায় ৮০ হাজার। অনিবন্ধিত ব্যবহারীর সংখ্যা এখন অগণিত। আর ব্যবহারের দিক হতে উইকিপিডিয়ায় বাংলা ভাষা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বলে জানা বাংলাদেশ সফররত উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস।

ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এক সেমিনারে উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস এসব তথ্য তুলে ধরে বলেন, মানব ইতিহাসের সব জ্ঞান যেনো পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে ওঠে, এরকম একটি আদর্শেই মূলত উইকিপিডিয়া প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ক্রয়ক্ষমতা, ভাষা অথবা মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় কনটেন্টের অভাবের মতো জ্ঞান আহরণের পথে বাধা হতে পারে এমন বিষয়গুলো দূর করতে সব রকমের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলা উইকিপিডিয়ার ১০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত।’ সবার জন্য জ্ঞানের দুয়ার উন্মুক্ত করতে বাংলা উইকিপিডিয়ান, গ্রামীণফোন ও উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে তিনি স্বাগত জানান।

Related Post

অনুষ্ঠানে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মুনীর হাসান বলেছেন, ‘১০ বছর ধরে বাংলা উইকিপিডিয়াতে অসাধারণ সব নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার বলা চলে। আমাদের লক্ষ্য, লেখার পরিমাণ বাড়ানো। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার তরুণকে নতুন করে প্রবন্ধ রচনায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা অ্যালান বংকে বলেন, বাংলায় আরও কনটেন্ট সৃষ্টি করতে উইকিপিডিয়ার সঙ্গে তাঁরা কাজ করছেন। উইকিমিডিয়ার সব মোবাইল সাইট গ্রামীণফোন গ্রাহকরা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। উল্লেক্ষ্য যিরোতে উইকিপিডিয়া প্রথম বাংলালিংক চালু করে।

অনুষ্ঠানে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ও মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

গ্রামীণফোন বলেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার। ২০১৪ সাল শেষে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার।

This post was last modified on মার্চ ২, ২০১৫ 12:45 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এক অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শসার পুষ্টিগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…

% দিন আগে

অ্যাপল ও গুগল সাইবার হামলার বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…

% দিন আগে

টমেটোর গুণাগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…

% দিন আগে

শাহরুখ খান কাজল-টুইঙ্কেলের কাছে ক্ষমা চাইলেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…

% দিন আগে

অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে, নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) এবং দ্বীপ…

% দিন আগে