২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেক মানুষেরই চশমা লাগবে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান প্রজন্মের অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের কারণে চোখের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যে কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেক মানুষেরই চশমার প্রয়োজন হবে!

অপথালমোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটারের উজ্জ্বল পর্দার দিকে তাকিয়ে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছে বর্তমান যুগের মানুষ। যে কারণে চোখের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরের একদল বিজ্ঞানী এক গবেষণার ভিত্তিতে এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। ওই গবেষকরা বলেছেন, বিশ্বের অর্ধেক মানুষ চলতি শতকের মধ্যভাগে অর্থাৎ ২০৫০ সাল নাগাদ দৃষ্টিক্ষীণতায় (মাইওপিয়া) আক্রান্ত হতে পারেন।

অপথালমোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এখন কাছের বস্তু কিংবা দৃশ্য দেখার কাজে চোখের ব্যবহার হচ্ছে তুলনামূলকভাবে খুব বেশি। যুব বয়স থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সী মানুষ কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনের মতো যন্ত্রের পর্দায় নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ নিমগ্ন থাকে। যে কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের চোখে। আর তাই ২০৫০ সাল নাগাদ এই গ্রহের অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ মানুষই চোখে চশমা কিংবা কনট্যাক্ট লেন্স নিতে বাধ্য হবে। অপরদিকে জনসংখ্যার অন্তত ১০ শতাংশ গুরুতর দৃষ্টিক্ষীণতা (মাইওপিয়া) রোগে আক্রান্ত হবে।

Related Post

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রায়ান হোল্ডেন ভিশন ইনস্টিটিউট এবং সিঙ্গাপুর আই রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা লিখেছেন, শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্যবহার নয়, ভবিষ্যৎ দৃষ্টিক্ষীণতার জন্য পরিবেশগত কিছু কারণও দায়ি হবে। যেমন পড়াশুনার অত্যধিক চাপ বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, তাইওয়ান এবং চীনের শিশু-কিশোর-তরুণদের ওপর।

ধারণা করা হয়, চীনে কিশোর বয়সী প্রতি ১০ জনের ৯ জনই দৃষ্টিক্ষীণতায় আক্রান্ত। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এই সমস্যার হার আরও অনেক বেশি। সেখানে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ সুস্পষ্টভাবে দেখতে পায়। ইউরোপে প্রায় ৫০ শতাংশ কিশোর-তরুণ দৃষ্টিক্ষীণতায় (মাইওপিয়া) আক্রান্ত। অথচ তাদের মা-বাবার প্রজন্মেই ওই বয়সীদের দৃষ্টিক্ষীণতার হার ছিল ২৫ শতাংশেরও কম।

এই গবেষণা প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক এবং ব্রায়ান হোল্ডেন ভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক কোভিন নাইডু বলেছেন, শিশুদের চোখ প্রতিবছর নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করাতে হবে। তাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টি-সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে হলে ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটানো ও যান্ত্রিক পর্দায় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার সময় কমানোর মতো কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

This post was last modified on ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ 12:00 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

বছরের অন্যতম সেরা সিনেমা ‘ট্রেন ড্রিমস’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ট্রেন ড্রিমস’ সিনেমার গল্পে জীবন এবং মৃত্যু পাশাপাশি হাঁটে- ঠিক…

% দিন আগে

শীতকালীন ঝড়ে গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালীন ঝড় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে ফিলিস্তিনের গাজায় এক ভয়াবহ…

% দিন আগে

হঠাৎ ধরা পড়লো তাসমানিয়ার সৈকতে ওপারফিস!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার এক সৈকতে একজন কুকুরচালক হঠাৎ দেখতে পান একটি…

% দিন আগে

গাছিদের রস সংগ্রহের দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ পৌষ ১৪৩২…

% দিন আগে

আপনি কেনো খাবেন ছোট মাছ?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, পুঁটি, টেংরা, তিনকাটা, খরে ইত্যাদি…

% দিন আগে

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি-এর ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি এর ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা…

% দিন আগে