ঢাকা টাইমস্ রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশের নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক মতদ্বৈততা ততই বাড়ছে। কারণ ইতিপূর্বে পর পর চারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের কথা বলে ক্ষমতায় এসে দুই বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থেকেছিল। আর সে সময় যা ঘটেছে তা সকলের কমবেশি জানা আছে। যে কারণে বর্তমান সরকারের আমলেই হাইকোর্ট একটি রায়ও দিয়েছে। প্রয়োজন না হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি থাকবে না এমন রায় হাইকোর্ট দিয়েছে। কিন্তু সরকারি দল ছাড়া বাকি সবাই এই পদ্ধতি রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সরকারকে কড়াভাবেই বলে দিয়েছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এমন এক পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়ছে। তাই শুধু দেশের মানুষ নয়, বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে।
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে এখনই সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। ড্যান মজিনা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে বসে একটি গ্রহণযোগ্য উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেশিদিন চলা ঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। ৭ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
ড্যান মজিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশ মানবাধিকারের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন গঠন করায় সরকারের প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়েও আমরা কাজ করি। বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার অন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকারের বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় স্বাধীন গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, এনজিও সংস্থা, স্থানীয় সরকার, পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কাজ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবাধিকার লংঘনের বিষয় প্রকাশ করে থাকে। মানবাধিকার রক্ষায় এসব প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহযোগিতাও দিয়ে থাকে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এই বাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেল-কে ৪ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে সহায়তার জন্য তিনি বর্তমান সরকারের প্রশংসা করেন।
ড্যান মজিনা আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন ঘটছে। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গার্মেন্টস পোশাক রফতানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্প, ঔষধশিল্পে, চামড়াশিল্পে ও কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি মনে করেন, এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। কিন্তু বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছাতে অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে হবে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি শক্তি বাড়াতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতি কমাতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে না বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা মনে করেন।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ৮, ২০১২ 11:07 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…