Categories: সাধারণ

শাহজাদপুরের ঐতিহাসিক মখদুম শাহদ্দৌলা জামে মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬ খৃস্টাব্দ, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ, ১২ শাবান ১৪৩৭ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি শাহজাদপুরের ঐতিহাসিক মখদুম শাহদ্দৌলা জামে মসজিদ। হযরত মখদুম শাহদৌলা শহীদ ইয়ামেনী (র:) এর মাজার শরীফও এখানে অবস্থিত। এখানে বাৎসরিক ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।

ইতিহাসে রয়েছে, ১২৯২ খৃষ্টাব্দে আরবের ইয়েমেন হতে ইসলাম প্রচারের জন্য হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা (রহ:) একদল মুবাল্লিগসহ শাহজাদপুরে আসেন।

Related Post

ঐতিহাসিকদের অনেকেই একমত হন যে, ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হযরত শাহজালাল (রা:) এর সিলেট আগমনের অনেক আগেই মখদুম শাহদ্দৌলা (র:) তাঁর অনুচরদের নিয়ে আসতেন।

দি জার্নাল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল ভলিউম ৭০ (১৯০৪) প্রথম খণ্ডে মৌলভী আব্দুলওয়ালী লিখেছেন যে, আরব দেশের ইয়েমেনের গভর্নর মুয়াজ ইবনে জাবালের দুই পুত্র-কন্যা সন্তান ছিল তাঁর মধ্যে বড়পুত্র মখদুম শাহদ্দৌলা (র:) পিতার অনুমতি নিয়ে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশে আসেন। এই সময় তাঁরা বজরা নৌকা দিয়ে পোতাজিয়া নামক স্থানে নোঙ্গর করেন। ওই সময় বর্ষা মওসুম হওয়ায় থই থই পানিতে গোটা শাহজাদপুর নাকি ডুবে ছিল। দেখা যেতো অনেকটা সাগরের মতো। তখন তাঁরা এক জোরা কবুতর নিয়ে ছেড়ে দেন। নিশানার জন্য কবুতরের জোড়া উড়ে গিয়ে শুকনো মাটি নিয়ে আসেন। অবশ্য এই কবুতর বর্তমান উজবেস্তিানের বোখারা নগরীর জালাল উদ্দিন তিবরীজির নিকট হতে নিয়ে এসেছিলেন।

পরে কবুতরকে অনুসরণ করে করতোয়া নদীর তীরে দরগাহপাড়া এসে তাঁবু টানান। সাময়িকভাবে এখানে বসবাস করে তাঁরা ইসলাম প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। দরগাহপাড়ার এই স্থানটিতেই মখদুম শাহদ্দৌলা (রহ:) তাঁর অনুচর ও ওস্তাদ শামসুদ্দিন তাবরেজীকে নিয়ে পাঞ্জেগানা নামাজ আদায় করতেন।

ধীরে ধীরে এখানে গড়ে তোলেন একটি জামে মসজিদ। তখনকার ওই মসজিদটিই হলো আজকের ‘মখদুমিয়া জামে মসজিদ’।

জানা যায়, ১৫০০-১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে বাংলার মুসলিম সুলতানি আমলে এই মসজিদটির নিদর্শন কাজ শুরু হয়। তৎকালীন মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম কারুকার্য ব্যবহার করা হয় এটি নির্মাণে। ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের উত্তর দক্ষিণ দৈর্ঘ্য ১৩.১৯ মিটার এবং পূর্ব পশ্চিম প্রস্থ ১২.৬০ মিটার। আর ছাদের উপরিভাগের গম্বুজের ব্যাস ৩.০৮ মিটার। গম্বুজের প্রতিটি মাথায় রয়েছে পিতলের কারুকার্য মন্ডিত। যে কারণে এটি দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

এটিই শাহজাদপুরের মুসলমানদের প্রথম বা বড় মসজিদ হিসেবে বিশেষ পরিচিত। প্রতি জুম্মাবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে শত শত মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি দেখে অভিভূত হন।

ছবি: www.sangbadprotidin.com এর সৌজন্যে।

This post was last modified on মে ১৮, ২০১৬ 12:20 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমাটি নিয়ে পায়েল যা বললেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪ নভেম্বর মুক্তি পায় কলকাতার ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’…

% দিন আগে

“ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…

% দিন আগে

তুরস্কে বিড়াল পেল নাগরিকত্বের স্বীকৃতি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…

% দিন আগে

এক অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শসার পুষ্টিগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…

% দিন আগে

অ্যাপল ও গুগল সাইবার হামলার বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…

% দিন আগে