দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখনও নিখোঁজের খোঁজে মানুষের আর্তনাদ শেষ হয়নি। সাভারের ভবন ধসের ঘটনায় বহু লাশ উদ্ধার হয়েছে। তারপরও স্বজনরা এখনও খুঁজে ফিরছে প্রিয়জনের লাশ। এমনই একজন কাকলী ফিরে পেলো তার মায়ের লাশ।
সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ১৮ দিন ধরে অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের খোলা আকাশের নিচে মায়ের লাশের জন্য অপেক্ষা করছিল ৮ বছর বয়সী শিশু কাকলী। বাবা শহীদ মিয়ার সঙ্গে অপেক্ষা করা এই ছোট্ট মেয়েটি প্রথম কয়েক দিন মা কাজলীকে জীবিত পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু ক্রমেই তার সে আশা ক্ষীণ হয়ে আসে। অন্তত মায়ের লাশটা নাটোরে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যেতে চেয়েছিল কাকলী। গতকাল ১১ মে কাকলীর সে আশা পূরণ হয়েছে। অধরচন্দ্র মাঠে পড়ে থাকা কয়েকটি লাশের মধ্য থেকে তার মায়ের লাশটি শনাক্ত করা হয়েছে। মমতাময়ী মায়ের লাশ পেয়েই স্বস্তিতে এ শিশু। এদিকে এখনও নিখোঁজ মায়ের ছবি বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৬ বছর বয়সী আরেক শিশু হাকিম। শিশুটি তার নানা শওকত আলীর হাত ধরে কখনও অধরচন্দ্র মাঠে, হাসপাতাল হয়ে আবার কখনও ছুটে যাচ্ছে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের সামনে। গত ১৮ দিনেও মেলেনি মা রাফেজার মরদেহ। ছোট্ট হাকিমই নয়, রানা ভবন ধসের পর এই ছোট্ট শিশুটির মতো অনেকেই মা হারিয়ে, কেও ছেলে কিংবা মেয়ে হারিয়ে, স্বামী তার প্রিয়তমা স্ত্রী হারিয়ে, স্ত্রী তার স্বামী হারিয়ে অপেক্ষা করছেন অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে। ওই মাঠে রাতদিন কান্না আর স্বজন হারানোদের আর্তনাদ চলছেই। যা শুরু হয়েছিল গত ২৪ এপ্রিল।
রানা প্লাজা ধসের পর ১৮ দিনে গতকাল পর্যন্ত ১১শ’ ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উদ্ধারের পর হাসপাতলে মারা গেছেন ১২ জন। শুক্রবার ১২টার পর থেকে গতকাল শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ৬৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল পর্যন্ত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৮১৯ জনের মরদেহ। হস্তান্তরের অপেক্ষায় অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে ৪৩ জনের আর দুই মর্গে ১৯ জনের মরদেহ রয়েছে। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ডিএনএ নমুনা রেখে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৩১২ জনকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে ঢাকা জেলা কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
১৮ দিন ধরে মেয়ে শিল্পীকে খুঁজতে মানিকগঞ্জ থেকে সাভারের অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে অবস্থান করছেন মা হালিমা বেগম। সঙ্গে শিল্পীর ছোট্ট মেয়ে আঁখি ও ছেলে জয়। এই মা কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, সেই প্রথম দিন থেকে মেয়েটাকে খুঁজছি। প্রথম দিকে মেয়ে জীবিত উদ্ধার হবে এ আশা করলেও এখন অন্তত কঙ্কালটা চান তিনি। অধরচন্দ্র স্কুলের নামাজঘরের সামনে আমগাছ তলায় বসে দু’জনের ছবি নিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন এক বৃদ্ধা। কাছে যেতেই ছবি দুটি দেখিয়ে জানালেন, একজন সুলতান ও অপরজন আছমা। যারা তার আদরের ছেলেমেয়ে। রানা প্লাজার তিন তলার গার্মেন্টসে কাজ করত ওরা। ভবনটি ধসে পড়ার পর বগুড়ার নন্দিগ্রাম থেকে ছেলেমেয়ের খোঁজে এসেছেন এই মা।
এদিকে ভারি যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধার অভিযান শনিবার শেষ করার কথা থাকলেও এখনও প্রচুর লাশ পাওয়া যাচ্ছে দেখে তা বন্ধ করা হয়নি। আরও দু’একদিন এভাবেই অভিযান চলবে। প্রিয়জনদের আকুতির কথা চিন্তা করেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রখেছেন।
This post was last modified on মে ১২, ২০১৩ 3:39 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল সানি লিওন আবারও বিয়ের পিড়িতে বসলেন।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…