Categories: সাধারণ

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইতিকথা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬ খৃস্টাব্দ, ৩১ আষাঢ় ১৪২৩ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৩৭ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদটি উদ্বোধন করা হয় ১৯৬৩ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওইদিন শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে এই মসজিদে শুরু হয় নামাজ আদায়। একই বছর (১৯৬৩ সাল) এই মসজিদে তারাবিহ নামাজ শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রথম খতিব ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান বেখুদ (রহ:) ১৯৬৩ সাল।

Related Post

এরপর খতিবের দায়িত্ব পালন করেন:

ক্বারী মাওলানা ওসমান মাদানী (১৯৬৩-৬৪)
মুফতি সাইয়েদ মুহাম্মদ আমীনুল ইহসান (১৯৬৪-৭৪)
মুফতি মাওলানা মুইজ (১৯৭৪-৮৪)
মাওলানা উবায়দুল হক (১৯৮৪-২০০৯)।

এরপর ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবে এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা নুর উদ্দিন। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট আলেমে দীন প্রফেসর মাওলানা মো: সালাহ উদ্দিন। মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে সম্প্রতি সরকার দক্ষিণ দিকে সুউচ্চ প্রবেশদ্বার ও সুউচ্চ মিনার নির্মাণ করেন।

ঢাকাকে বলা হয়ে থাকে মসজিদের শহর। ঢাকার হাজারো মসজিদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় মসজিদ হলো এই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৫৯ সালে সে সময়ের বিখ্যাত শিল্পপতি ছিলেন আব্দুল লতিফ বাওয়ানী। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সামরিক শাসক মেজর জেনারেল ওমরাও খানের নিকট বাইতুল মোকাররম নামে মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওমরাও খান মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন। ১৯৫৯ সালের ২৭ এপ্রিল আব্দুল লতিফ বাওয়ানীর বাড়িতে মসজিদ নির্মাণের একটি সভা করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জি.এ. মাদানী, হাজী আব্দুল লতিফ বাওয়ানী, এম.এইচ. আদমজী, এস. সাত্তার, মুহাম্মদ সাদিক, এ.জেড.এন রেজাই করিম ও মেজর ওমরাও খান।

ওই সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, পল্টন পুকুর ভরাট করে বায়তুল মোকররম মসজিদ নির্মাণ করা হবে। পুকুর ভরাট হলে ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের নকশা প্রদান করেন প্রকৌশলী আবুল হোসেন থারিয়ানী। নির্মাণ কাজ দেখাশোনা করেন প্রকৌশলী মঈনুল হোসেন। ৬০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই মসজিদের জন্য সরকার বরাদ্দ দেয় ৮.৩০ একর জমি।
বায়তুল মোকাররম মসজিদটি প্রধানত ৮ তলা। এখানে রয়েছে বিপণি বিতান এবং নিচ তলায় গুদামঘর। প্রথম হতে ৬ষ্ঠ তলা ভবন বা ইমারত। এই মসজিদে মহিলাদের নামাজের জন্য পৃথক স্থানও রয়েছে। আয়তন ৬,৩৮২ বর্গফুট। মসজিদ বেলকনিসহ সব মিলিয়ে মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬২ বর্গফুট এলাকা নামাজের জন্য ব্যবহার করেন।

This post was last modified on জুলাই ১৪, ২০১৬ 12:24 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

নখ দেখেই বোঝা যাবে রোগ হয়েছে কি না!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বৃদ্ধির পর নখ কিছুটা হলেও ভঙ্গুর হতেই পারে। আবার…

% দিন আগে

তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ “কৃষি-উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি সরকার তাদের বিকাশে সকল…

% দিন আগে

বিস্ময়কর এক রোবট অ্যাটলাসের গল্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে তো একটি রোবট শরীরকে কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে…

% দিন আগে

প্রথম পারিশ্রমিক ছিলো ৫০ রুপি: বর্তমানে প্রতি ছবিতে নেন ২০ কোটি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা যশ। যিনি সবার…

% দিন আগে

গাজার যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনছে না ইসরায়েল!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি করতে…

% দিন আগে

ভারতে গাধার দুধ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা লিটার!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের সমাজে গাধা নামক প্রাণীটি কঠোর পরিশ্রমের রূপক হিসেবে প্রচলিত।…

% দিন আগে