দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতকে বলা হয় বৈচিত্র্যের দেশ। এই ভারতেই রয়েছে এমন গ্রাম, যেখানে সবাই কথা বলে সংস্কৃত ভাষায়। যে ভাষা কুকুর-বিড়ালও বোঝে!
কথা বলা, লেখাপড়া সব কিছুই চলে ওই সংস্কৃত ভাষায়। ভারতবর্ষে এমন একটি গ্রাম পাওয়া গেছে যেখানে কথ্যভাষাই হলো সংস্কৃত। সাধারণ কথাবার্তাও চলে সংস্কৃতেই। এমনকি বাড়ির পোষ্য কুকুর-বিড়ালকেও ডাকা, এমনকি খেতে দেওয়া সবকিছুতেই ব্যবহার করা হয় দেবভাষা। আবার সকলেই বোঝেও সেটা। এই গ্রামের কৃষকরা গরু, মোষকেও নির্দেশ দেন এই সংস্কৃত ভাষাতে।
ভারতের এই গ্রামের নাম মাত্তুর। কর্ণাটকের সিমোগা জেলায় অবস্থিত এই মাত্তুর গ্রাম। একদা দ্রাবিড় অধ্যুষিত এই গ্রামে এখনও কথ্যভাষা সংস্কৃত বিদ্যমান। এখানকার বাসিন্দারা সংস্কৃত ভাষা চর্চার ধারক এবং বাহক। কথ্য ভাষায় কিছু কিছু কন্নড়‚ তেলেগু‚ তামিল মিশে গেলেও মূল ব্যাকরণ অনুসরণ করা হয় এই দেবভাষার। ব্যবহার করা হয় দেবনাগরী হরফ। ওই গ্রামের সব সম্প্রদায়ের, সব পেশার মানুষই ঝরঝরেভাবে সংস্কৃত ভাষায় কথা বলেন!
আবার শিশুরা জন্মের পরই মাতৃভাষা হিসেবে সংস্কৃত শেখে। স্কুলে পাঠ শুরু হয় বৈদিক স্তোত্র পাঠের মধ্যদিয়ে। এই গ্রামের সব স্কুলেই সংস্কৃত প্রথম ভাষা। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে থাকে ইংরেজি কিংবা কন্নড় ভাষা। এর অর্থ এই নয় যে‚ সবাই বড় হয়ে পুরোহিত বা সংস্কৃত ভাষানির্ভর পেশাতেই যুক্ত হয়ে থাকেন। গ্রামের নতুন প্রজন্ম দিব্যি তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ার সঙ্গে তালমিলিয়ে চললেও তাদের যেনো আদি ভাষা সংস্কৃত ভাষা যেনো তাদেরকে আষ্ঠে-পৃষ্ঠে ধরে আছে!
This post was last modified on আগস্ট ১৭, ২০১৬ 12:50 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেটের স্বাস্থ্য ভালো কি না, তা বুঝে নেওয়ার সহজ পরীক্ষাও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুই বাংলাতেই সমানতালে নানাভাবে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন জয়া আহসান। এবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধিতে এই খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বাংলাদেশ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্যই বহাল আয়ার সঙ্গে ছদ্ম প্রেমের সম্পর্ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১০ চৈত্র ১৪৩১…