দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যা আপাতদৃষ্টিতে বিপজ্জনক মনে না হলেও এসব প্রাণীর অনেকগুলোই বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে থাকে।
প্রায় পুরো বিশ্বজুড়ে রয়েছে বিপজ্জনক প্রাণী সাপ। এই প্রাণীটির কামড়ে বিশ্বে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। এ জন্য সাপ মানুষের মৃত্যুর জন্য তৃতীয় দায়ী প্রাণী হিসেবে ধরা হয়।
আমরা সবাই জানি বনের রাজা সিংহ বিনা কারণে মানুষকে আক্রমণ করে না বলেই শোনা যায়। তবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সিংহের আক্রমণে প্রতিবছর বহু মানুষ প্রাণ দেয়। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, সিংহের আক্রমণে বছরে ২২ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
হাঙ্গর হলো বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম এক প্রাণী। এই প্রাণীটির আক্রমণে গত বছরে ৬ জনের মৃত্যু হয়। হাঙ্গর বিপজ্জনক প্রাণী হলেও খুব একটা আক্রমণ করে তা নয়, মূলত এদের হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আফ্রিকাতে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু ঘটায় কুমির। এ মৃতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার হবে।
খুব ছোট্ট একটি প্রাণী হলো মশা। তাই এই মশার কামড়কে অনেকেই কোনো গুরুত্বই দেন না। যদিও মশা আমাদের কত ক্ষতি করে তা জানলে আপনি হয়তো মশার দিকে সেভাবে তাকাবেন না।পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ি যে প্রাণী তার নাম হলো মশা। এ প্রাণীটি প্রতিবছর সাড়ে ৭ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ি। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি নানা কঠিন রোগ হয়। এসব রোগেই মূলত মানুষের মৃত্যু ঘটে থাকে।
আফ্রিকার মাছি টিসেটসি মারাত্মক একটি রোগের জন্য দায়ি। স্লিপিং সিকনেস নামে এই রোগে মারাত্মক মাথাব্যথা, জ্বর, অস্থিসন্ধী ব্যথা, চুলকানী দেখা যায়। পরবর্তীতে মস্তিষ্কের আরও কিছু জটিলতাও তৈরি হয়, যা হতে রোগীর মৃত্যু হয়। এই রোগে বছরে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে, এরজন্য দায়ি এই টিসেটসি মাছি।
কুকুরের রয়েছে বহু রূপ। প্রাণীটিকে আপনি কিভাবে পুষছেন কিংবা রাখছেন তার ওপর বহু বিষয় নির্ভর করে থাকে। কুকুর আমাদের নিরাপত্তার কাজসহ নানা ধরনের জীবন রক্ষাকারী কাজে পারদর্শী। তবে এই কুকুরকে আবার সঠিকভাবে যত্ন না নিলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই অবস্থায় মানুষকে কামড়ালে মানুষেরও মৃত্যু ঘটে। জলাতংক রোগে প্রতিবছর ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে, যার ৯৯ শতাংশই কুকুরের মাধ্যমে ছড়ায় বলে জানা যায়।
অ্যাসাসিন বাগ নামে এক ধরনের ছারপোকা রয়েছে যা খুবই বিপজ্জনক। একে কিসিং বাগও বলা হয়ে থাকে। এই ছারপোকা চ্যাগাস ডিজিজ নামে একটি রোগ বহন করে। এই রোগে বছরে প্রায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে।
পানির মধ্যে বসবাসকারী জলহস্তি একটি হিংস্র প্রাণী। এটি আফ্রিকায় প্রচুর মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ি। এমনকি চলন্ত নৌকাকেও হামলা করতে ছাড়ে না এই প্রাণীটি। প্রতিবছর প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে জলহস্তির আক্রমণে।
বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে ১৪ তম স্থানে রয়েছে এই নেকড়ে। এটি বিশ্বের বহু স্থানেই বসবাস করে। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০ জন মানুষ নেকড়ের আক্রমণে প্রাণ হারায়।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬ 6:18 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…