দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধ মানেই ধ্বংস। তাই যুদ্ধ কারই কাম্য হতে পারে না। তবে এই যুদ্ধের প্রস্তুতিস্বরূপ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। আজ রয়েছে পৃথিবীর সবথেকে দুর্ধর্ষ ১০ বাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত।
বিশ্বে এমন কিছু বাহিনী রয়েছে যারা অত্যন্ত শক্তিশালী ও সাহসী। জীবনের পরোয়া না করে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে এরা বদ্ধ পরিকর। দেখে নিন বিশ্বের সেইসব দুর্ধর্ষ ১০ বাহিনী:
১৯৫৬ সালে তৈরি হয় পাকিস্তানের এই বাহিনী। যাকে “Black Storks” নামে ডাকা হয়ে থাকে। সাহসিকতার জন্য এই বাহিনী বিখ্যাত। জঙ্গিদমন, পণবন্দিদের উদ্ধার, আচমকা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লড়ায়ের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে এরা।
ইতালি মিলিটারির একটি বিশেষ ফোর্স এটি। ১৯৭৮- সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ফোর্স। সন্ত্রাসবাদীদের রুখতেই এই বাহিনীটি প্রতিষ্টিত হয়। বর্তমানে এই বাহিনীতে রয়েছে ১০০-এর বেশি জওয়ান।
এটি হলো অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গি-দমনকারী ইউনিট। ১৯৭৮-সালে ইসরায়েলি অ্যাথলিটদের উপর হামলার পরই এই বাহিনীটি তৈরি করা হয়। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশ নিয়েছে এই বাহিনী। এটি এমন একটি ইউনিট যারা আকাশে থাকাকালীনই একটি বিমানকে হাইজ্যাকারদের হাত হতে বাঁচিয়েছিল!
এই বাহিনী ফরাসি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ অংশ। মূলত জঙ্গি দমন ও পণবন্দিদের উদ্ধারের জন্য এদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়। যে কোনও ভয়াবহ হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত থাকে এরা। বিশ্বের যে কোনও স্থানে গিয়ে পণবন্দিদের উদ্ধার করে আনার জন্য এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর অংশ হলো এই মার্কোস। জঙ্গিনাশ, পণবন্দিদের উদ্ধার কিংবা ডাইরেক্ট অ্যাকশনের মতো মিশনের ক্ষেত্রে এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এরা বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত, বিশেষ অস্ত্র ধারণ করে এরা। যে কোনও ভয়ানক অভিযানের জন্য এদের প্রস্তুত রাখা হয়।
১৯৯০ সালের ১৩ জুলাই থেকে কার্যকরি হয়েছে এই বাহিনী। জঙ্গি হামলার আশঙ্কাতেই তৈরি করা হয়েছিল এই বিশেষ বাহিনীটি। তবে শুধুমাত্র জঙ্গি-দমন নয়, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজে প্রস্তুত থাকে এরা।
জার্মানির জঙ্গি দমন শাখা হলো এই বাহিনীটি। ১৯৭৩ সালে তৈরি করা হয় জার্মান পুলিশের এই বাহিনীটি। অপহরণ, জঙ্গি হামলার মতো ঘটনায় এরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। স্নাইপার অপারেশনও চালিয়ে থাকে এরা। ১৯৭৩ হতে ২০০৩-এর মধ্যে দেড় হাজার মিশন সম্পন্ন করেছে এই বাহিনী।
বারবার জঙ্গি হামলার পর আমেরিকায় ১৯৯৭ তে অনুমোদন পেয়েছিল এই বাহিনী। এই বাহিনীটি আমেরিকার গোপনতম একটি বাহিনী। শুধু জঙ্গি হানার মোকাবিলাই নয়, দেশের জন্য যে কোনও ধরনের অভিযানে অংশ নিতে সক্ষম এই বিখ্যাত ডেলটা বাহিনীটি।
আমেরিকার নৌবাহিনীর পুরুষ সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই নেভি সিল। সিআইএ তাদের গোপন অপারেশনে অংশ নেওয়ার জন্য এই নেভি সিল হতে লোক নেওয়া হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় এরা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। পরে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় অংশ নেয় নেভি সিল।
১৯৪১ সালে গঠন করা হয় এই বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৮০ সালে ইরানি দূতাবাসে হামলার পর সাফল্যের সঙ্গে পণবন্দিদের উদ্ধার করে খ্যাতি অর্জন করে এই বাহিনী। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদমন ও যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে এই বাহিনীকে।
This post was last modified on অক্টোবর ৫, ২০১৬ 1:32 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- এর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর ছোটবেলার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি কাঁচি। তবে এই কাঁচির প্রতিকৃতিটি এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’ স্বাদে মিষ্টি না হলেও এই ধরনের খাবারে শর্করার…