দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের এক উদীয়মান যুবক আবুল হোসেন আসাদ। তিনি সাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে ওমানে পৌঁছেছেন! বাংলাদেশী এই যুবক বর্তমানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওমানের পথে প্রান্তরে।
‘পরিবেশ রক্ষা করুন, নিজে বাঁচুন ও এইচভি মুক্ত বিশ্ব গড়ুন’- এমন একটি সমাজ সেবামূলক শ্লোগানকে সামনে রেখে সাইকেল নিয়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বভ্রমেণের উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়েন বাংলাদেশের তরুণ সাইক্লিষ্ট আবুল হোসেন আসাদ। সাইকেল চালিয়ে তিনি ইতিমধ্যে ঘুরে ফেলেছেন ৪২টি দেশ। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ওমানে। বিভিন্ন দেশে সাইকেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে আবুল হোসেন আসাদ এবার সাইকেল চালাচ্ছেন সালতানাত অব ওমানে। তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওমানের পথে প্রান্তরে।
আসাদ সাইকেলে পাড়ি দিয়েছেন ওমানের মরুভুমি, পাহাড় এবং আরব সাগরের বেলাভূমি। গত ৬ নভেম্বর তিনি সাইকেল নিয়ে ওমানের উদ্দেশ্যে ঢাকা হতে যাত্রা শুরু করেন। তিনি একে একে ওমানের নাখাল, নিজুয়া, সালালাহ, মিরবাত, হাদবিন, হাসিক, ওয়াদি বনি খালিদ, বিদিয়া, সুর, সুইক প্রভৃতি স্থান ভ্রমণ করেছেন।
সাইকেল পরিবেশ বান্ধব বাহন। প্রতিদিন সুস্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম যান এই সাইকেলে সহজে দূর থেকে দূরে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় তিনি সাইকেলকে ভ্রমণের অনুষঙ্গ করেছেন। ওমানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন, নান্দনিক ও বিশ্বস্বীকৃত মসজিদ, স্থাপত্যর্কীতি, জনজীবন এবং পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং ঐতিহ্য ওমানে তুলে ধরে সালতানাত অব ওমানে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রয়াস চালাচ্ছেন আবুল হোসেন আসাদ।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ওমানে সুপরিচিত করতে ও সালতানাত অব ওমানের পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আকৃষ্ট করতেও তিনি প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি ওমানের বিভিন্ন সংঘঠন, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহে গিয়েছেন। আবুল হোসেন আসাদ সাইকেল চালনাই নয়, সেইসঙ্গে ওমানে বসবাসরত বিভিন্ন স্তরের বাংলাদেশীদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার উপাখ্যানেরও সাথী হয়েছেন। সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গেও। মরুর দেশে কর্মক্লান্ত বাংলাদেশী শ্রমিক ভাইদের সাথেও সময় কাটিয়েছেন তিনি। ওমানে কর্মংস্থান, বিনিয়োগ সুযোগ, সম্ভাবনা এবং সমস্যাদি নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন আপন নিরীক্ষায়।
সংবাদ মাধ্যমকে আবুল হোসেন আসাদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। আমি পৃথিবীকে এমন একটি নাজুক অবস্থায় দেখতে চাই না। তাই সাইকেল নিয়ে ক্যাম্পেইনে নেমেছি।
চলার পথে আসাদ পাড়ি দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের সড়ক, মহাসড়ক এমনকি ফেরিতেও। তিনি বলেন, আমি দক্ষিণ কোরিয়া দিয়ে ওমানে প্রবেশ করেছি। ভিসার ব্যবস্থা করতে না পারায় ওমানই আমার এই সফরের শেষ দেশ হবে। ওমান অনেক সুন্দর একটা দেশ। আমি এখানে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রচারণা চালাচ্ছি। আসাদ মনে করেন, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাইকেল সবচেয়ে সস্তা ও সহজ একটি যানবাহন।
This post was last modified on নভেম্বর ২৬, ২০১৬ 11:22 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৬ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বৃদ্ধির পর নখ কিছুটা হলেও ভঙ্গুর হতেই পারে। আবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ “কৃষি-উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি সরকার তাদের বিকাশে সকল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে তো একটি রোবট শরীরকে কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা যশ। যিনি সবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি করতে…