দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামরিক ব্যয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিছু যানবাহনের হলো মানবাহী রণতরী, সাবমেরিন ও ব্যয়বহুল বিমান। আজ জানুন কয়েকটি সামরিক যান সম্পর্কে।
৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ফ্রান্সের এই বিমানবাহী রণতরি। বাস্তবে এটি ১৯৮৬ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হয়। তবে নানা সমস্যার কারণে এটি কাজ শুরু করতে পারেনি। এরপর নানা সমস্যা কাটিয়ে সম্প্রতি পারমাণবিক শক্তিচালিত এই জাহাজটি কাজ শুরু করেছে।
১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড। এই রণতরীটি ১১০৬ ফুট লম্বা। রণতরীটি রাডারে ধরা পড়ে না। দুটি রানওয়ে রয়েছে এটির ওপর এই জাহাজটিতে ৫ হাজার মানুষ কাজ করেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার মেরিন সেনা এবং নাবিক। এখনও এর নির্মাণকাজ চলছে। ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ কাজ শুরু করবে এই জাহাজটি। জাহাজটির ওজন এক লাখ টন। ৮০টি বিমান ধারণক্ষমতা রয়েছে এটির!
৩.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীটি। এটি গ্যাস টারবাইন জেনারেটরের সাহায্যে পরিচালিত। এই রণতরটির অপারেশনাল রেঞ্জ ১১ হাজার নটিক্যাল মাইল। এটিতে ৩৪টি বিমান অবস্থান করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের বিমানবাহী রণতরী হলো এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ। এই রণতরীটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯.৩ বিলিয়ন ডলার। এটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ ফুট। ৬৫ হাজার টন ওজনের এই বিমানবাহী রণতরীটি ১০ হাজার মাইল চলতে পারে কোনো জ্বালানি ছাড়াই। জাহাজটির ৪টি শক্তিশালী জেনারেটর রয়েছে। এগুলো একসঙ্গে চালু করা হলে এটি দ্রুতগতিতে চলতে ও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। পাশাপাশি আরও উচ্চগতিতে চলার জন্য জাহাজটিতে থাকা গ্যাস টারবাইন ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এই গ্যাস টারবাইন দুটি একসঙ্গে ১০৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।
৫.৫ বিলিয়ন ডলারের এই সাবমেরিনটি একটি নিমিজ ক্লাস সাবমেরিন। এই সাবমেরিনটি ৩০ নট বেগে চলতে পারে। এটির টর্পেডো ৩০ মাইল দূর থেকেও শত্রুপক্ষের জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। এটির মিসাইলের পাল্লা ১ হাজার মাইল। আরও রয়েছে নানা আধুনিক যন্ত্রপাতিও।
প্রাথমিকভাবে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় ধরা হলেও পরবর্তীকালেনানা অস্ত্রে সজ্জিত করতে গিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ডিডিজি ১০০০ জুমওয়াল্ট-ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের নির্মাণব্যয় দাঁড়ায় ৭ বিলিয়ন ডলার। এটিতে যোগ করা হয়েছে বিশ্বখ্যাত রেইলগান। এটি শত্রুর রাডারেও খুব সহজে ধরা পড়বে না। এটি পরিচালনাতেও খুব কম মানুষ প্রয়োজন পড়বে।
আড়াই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সাবমেরিনটি তৈরি করতে। সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের অ্যাটাক সাবমেরিন এটি। এই সাবমেরিনটি রাডার ফাঁকি দিয়ে চলতে সক্ষম। এতে একটি পারমাণবিক রিঅ্যাকটরও আছে, যা দিয়ে এটি দীর্ঘদিন জ্বালানি না নিয়েই চলতে সক্ষম।
This post was last modified on জানুয়ারী ১২, ২০১৭ 8:11 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই দিনে ২ থেকে ৩ বার এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আঞ্চলিক রাউন্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এমন একটি ল্যাপটপ বাজারে এলো যা একইসঙ্গে একাধিক কাজ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের নায়িকা মিষ্টি জান্নাত অভিনীত বেশ কয়েকটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে আবারও মিশরের কায়রোতে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের…