দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে এই গোপন রাস্তা দিয়ে কোথায় যান তিনি? তবে এই রাস্তা দিয়ে তিনি তখনই যান যখন তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন ঠিক তখন! কিন্তু কেনো যান তিনি?
দৃশ্যটি দেখে অনেকেরই মনে হতে পারে এটি সিদ কাটার দৃশ্য। আগে গ্রামে-গঞ্জে মাটির ঘরে ঠিক এভাবেই সিদ কেটে চুরি হতো। কিন্তু এই দৃশ্যটি একটু ব্যতিক্রমি, আর তা হলো যে ব্যক্তি সিদ দিয়ে যাচ্ছেন তার পরনে সিন্সের প্যান্ট ও কেটস্ পরা। যখন তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন ঠিক তখন তিনি একটি গোপন রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যান, কিন্তু কোথায় যান তিনি? কেনোইবা যান সে প্রশ্ন আসায় স্বাভাবিক।
তবে বিষয়টি শুনলে আপনিও অবাক হবেন। বিষয়টি হলো ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন তার স্ত্রী। সেটি সহ্য হয় না তার স্বামীর। তাই এই নাকডাকার হাত থেকে বাঁচতে ভিন্ন এক পন্থা অবলম্বন করলেন স্বামী। যা রীতিমত সকলকে অবাক করে দেয়। দ্য বিগ ইস্যু ওয়েবসাইটের এক খবরে বলা হয়েছে, স্ত্রীর নজর এড়িয়ে বাড়ি হতে ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত পাব বা মদের দোকানে যাওয়ার জন্য গোপন রাস্তা খুড়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
শোয়ার ঘরের বিছানার তলা হতে শুরু হয়েছে সুড়ঙ্গের মধ্যে এই রাস্তা। এই রাস্তাটি শেষ হয়েছে পাবের মহিলাদের শৌচালয়ের মধ্যে গিয়ে! দীর্ঘ পনেরো বছর এইভাবে চলার পরে ধরা পড়েছেন পাটসি কে নামে ওই ব্যক্তি। ধরা পড়েও নিরুত্তাপ ছিলেন তিনি। তার সোজাসাপ্টা উত্তর- স্ত্রীর বিরক্তিকর নাক ডাকা হতে বাঁচতে এবং রাতে পাবে গিয়ে আয়েশ করে মদ খাওয়ার জন্যই এই প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেন তিনি! স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে চলে যেতেন পাবে। আবার ফিরে আসতেন ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই।
পাটসি আরও জানিয়েছেন, পাবের মালিকও তার আসা-যাওয়া দেখে অবাক হয়ে যেতেন। তিনি বুঝতে পারতেন না আসলে কোন পথে পাটসি পাবে ঢুকছেন। কোন পথ দিয়ে পাটসি আবার ফিরে যাচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে, ১৯৯৪ সালে স্টিফেন কিংয়ের লেখা গল্পের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত শশাঙ্ক রিডেম্পশন মুভিটি দেখেই এরকম একটি কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। ওই সিনেমার প্রধান নায়ক যেমন জেলখানা খুড়ে বেরিয়ে আসেন, ঠিক তেমনি তিনিও এমন কিছু চমক দেখাতে চেয়েছিলেন। সুড়ঙ্গ খুড়তে ব্যবহার করেছেন কাঁটা চামচ হতে শুরু করে ড্রিল মেশিন। স্ত্রী যখন শপিংয়ে বাইরে যেতেন তখন বিভিন্ন জিনিসপত্র সেই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করাতেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টার পর ২০০৯ সালে তার সুড়ঙ্গ খুড়ার কাজ শেষ হয়। এরপর হতে রাত ১১টার দিকে সুড়ঙ্গ দিয়ে ৮০০ মিটার দূরের পাবে গিয়ে মদ খেয়ে ঘন্টা খানেক পর আবার ফিরে আসতেন।
তার স্ত্রী মুখ হতে অ্যালকোহলের গন্ধ পেলেও ধরতে পারতেন না কখন তিনি সেটি গ্রহণ করতেন! মদের দোকানের মালিকও ভেবে পেতেননা তিনি হঠাৎ করে কোথা হতে উঠে আসতেন। তবে সম্প্রতি ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে সুড়ঙ্গের ফাটলটি ধরা পরে। তখন ফাঁস হয়ে যায় তার এই অভিনব বিষয়টি।
তবে ধরা পড়ার পর এই ভদ্রলোক খুব খুশি বলে জানিয়েছেন। কারণ হলো তিনি জানতেন একদিন তাকে ধরা পড়তেই হবে!
This post was last modified on অক্টোবর ২৯, ২০১৭ 12:28 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ব্যক্তিত্ব কীরকম তা বলে দিতে পারে আপনার আঙুলের আকৃতি!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…