দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এক বিস্ময়কর ব্যাপার বটে। আপনি কি আগে কখনও এমন কথা শুনেছেন? কারণ হলো একটি পিৎজার দাম ৮০ লাখ টাকা! কী আছে এই বিশাল দামি পিৎজায়?
সারাবিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার হলো পিৎজা (ইতালীয়: Pizza পিৎসা) বা আমরা পিজা বলি। মূলত ইতালির নেপলস শহরে এই খাবারটির উদ্ভাবন হয়। তারপর সারাবিশ্বের জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে এই খাবারটি।
কালক্রমে এই খাবারটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে এটি যথেষ্ট পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পিৎজা নামটা শুনলেই অনেকের জিভে এখন জল চলে আসে। কারণ চিজ, চিকেন বা রঙিন বাহারি সবজিতে ঠাসা এই ইতালিয়ান ডিশ যুবপ্রজন্মকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে সফল, সেটি অনায়াসে বলা যায়।
শহরের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠেছে পিৎজার নানা রকম আউটলেট। আবার এটির দামও মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই। যে কারণে নিয়মিতভাবে পিৎজার স্বাদ পেতে ভালোবাসেন ভোজনরসিকরাও। তবে ইতালির তিন শেফ মিলে এবার যে পিৎজা বানিয়েছেন, তার দাম শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে তাতে সন্দেহ নেই। খুব যে বড় আকারের বলে দাম বেশি তা কিন্তু নয়। সাধারণত যে পিৎজা খেয়ে থাকেন, তেমনই কিন্তু দামের দিক থেকে আকাশ ছোঁয়া।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাত্র ২০ সেন্টিমিটারের পিজ্জাটি দু’জনের খাওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। তার নাম লুইস থার্টিন (Louis XIII)। আপনাকে যদি ওই পিজ্জাটির দাম নির্ধারণ করতে বলা হতো তাহলে হয়তো বলতেন, এক বা দুই হাজার কিংবা ১০ হাজার টাকার বেশি নয়। কিন্তু তা নয়, কারণ পিৎজাটির মূল্য আপনার আন্দাজের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি। এই পিজ্জায় কামড় বসাতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে বাংলাদেশী টাকায় ৮০ লাখ টাকা! হয়তো আপনার প্রশ্ন আসতে পারে কী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পিজ্জাটি?
আপনার বিশ্বাস না হলেও ৮০ লাখ টাকারই পিৎজা বানিয়েছেন তিন শেফ। এটিই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান পিৎজা হিসেবে পরিগণিত হবে। তবে প্রশ্ন হলো, এই মাপের পিৎজার দাম এমন আকাশচুম্বি কেনো হলো? কী এমন রয়েছে এই পিৎজায়?
শেফ রেনাতো ভায়োলা জানিরয়েছেন তার রহস্য, Louis XIII পিৎজাটি তৈরি হতে সময় লেগেছে ৭২ ঘণ্টা। অর্থাৎ তিনদিন লেগেছে। এটি পরিবেশন করা হয় রেমি মার্টিন লুইস থার্টিন কনিয়্যাকের বোতলের সঙ্গে। যেটি বিশ্বের সবথেকে দামী মদের মধ্যে অন্যতম। সেই কারণেই পিৎজাটির দাম আকাশ ছুঁয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার পিৎজাটির বাকি উপকরণগুলোর বেশিরভাগই ফ্রান্স এবং ইতালি হতে আমদানি করা হয়েছে। মারে নদীর হতে সংগৃহীত অস্ট্রেলিয়ান পিঙ্ক সল্ট পিৎজার স্বাদ যেনো আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। ৮০ লাখ টাকা খরচ করে বড় বাংলো কিনে ফেলা সম্ভব, কিংবা ওই টাকা দিয়ে বেরিয়ে পড়া যাবে বিশ্বভ্রমণে। তবে ভোজনরসিকদের বিশেষ করে যাদের টাকার অভাব নেই তারা নিশ্চয়ই এমন অমূল্য পিৎজার স্বাদ গ্রহণের জন্য অর্থ খরচে কোনো রকম কার্পন্য করবেন না। বরং আত্মতুষ্ঠি হবে তাদের!
This post was last modified on নভেম্বর ৭, ২০১৭ 12:02 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত দেখা যায় বলিউডে সকালে কোনো ছবির জন্য নায়িকার নাম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইয়েমেনের আল-হুদায়দাহ বিমানবন্দরে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইবার বিমান হামলা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখেই যে কারও গা শিউরে উঠবে। বিরাট আকারের সাপ গলায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৬ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার পর কোন কোন ওষুধ আপনি খাবেন?…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার গুলশানে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৫০১তম পরিচালনা…