দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিয়া খানের গর্ভপাতকারী চিকিৎসককে জেরা করে অনেক তথ্য পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ। ওই চিকিৎসকই জিয়া খানের অ্যাবরশন করিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জিয়া খানের মা রাবিয়া আমিন খান জানিয়েছেন, সুরুজ পাঞ্চালি এবং তার মেয়ে জিয়া দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরেই লিভ ইন করতেন। সেই সময়ই অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন জিয়া। পরে সুরুজের জেদাজেদিতেই তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করানো হয়।
সিএনএন-আইবিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জিয়া খানের মা যখন এই দাবি করছেন তখন ওই চিকিৎসককে জেরা করে আরও অনেক তথ্য হাতে এসেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশ উদ্বৃতি দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলেছে, হস্তলিপি বিশারদরা জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটটি জিয়ারই নিজে হাতে লেখা। তাতে জিয়া স্পষ্ট লিখে গিয়েছেন, সুরুজ কীভাবে নিয়মিত যৌন অত্যাচার চালাত তার উপর। জিয়াকে কীভাবে ধর্ষণ করা হতো।
পুলিশ সুরুজকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে তাকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিয়ার লেখা বেশ কিছু চিঠিও সুরুজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই চিঠি ও সুইসাইড নোট নিয়ে সুরুজকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।
রাবিয়া আমিনের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হতেই বলিউডে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়েছে পাঞ্চালি পরিবারের অপসংস্কৃতি ও বদনাম নিয়ে। রাবিয়া আমিনের দাবি, সুরুজ জিয়ার কাছ থেকে যা চাইছিল তাই পাচ্ছিল। শারীরিক সুখ থেকে নানা উপহার, সবকিছু। কিন্তু ওই সম্পর্ক থেকে জিয়া যেটুকু চাইছিল তা কখনওই পাচ্ছিল না। সে সুরুজের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলের শিকার হচ্ছিল। জিয়া সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। অথচ সুরুজ তাকে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করছিল।
জিয়ার মৃত্যুর জন্য রাবিয়া সরাসরি সুরুজ ও তার বাবা আদিত্য পাঞ্চালিকেই দায়ী করেছেন। রাবিয়ার অভিযোগ, ‘শেষ দিকে সুরুজ নিয়মিত জিয়াকে মারধর করত। অত্যাচার করত। আমি ওর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। ও কি অসহ্য মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তার সাক্ষী আমি। জিয়াকে বার বার বলেও সম্পর্কটা থেকে সরিয়ে আনতে পারিনি। সুরুজকেও বার বার এসএমএস করেছি। সম্পর্কটা ভেঙে দিতে। কিন্তু ও তা করেনি। শেষে জিয়া নিজেকেই সরিয়ে নিল শেষবারের মতো। আমি এর সুবিচার চাই। আমি হতাশ, আমি ক্রুদ্ধ।’
অপরদিকে জিয়ার আত্মহত্যার পর ছেলের পক্ষে মুখ খুলেছেন গতকাল বুধবার তার মা জারিনা ওয়াহাব। আদিত্যর অভিনেত্রী স্ত্রী জারিনা জিয়ার আত্মহত্যার পর জানালেন, আমার ছেলে সুরুজ নির্দোষ প্রমাণিত হবে বলে আমার ধারণা। জিয়ার আত্মহত্যার পিছনে সুরুজের কোনো ভূমিকা নেই। আমি সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ করছি, সুরুজকে কাঠগড়ায় তুলে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে দয়া করে আসবেন না আপনারা।
এতকিছুর পরও জিয়া খানের ভক্তরা তাকিয়ে আছে পুলিশের দিকে। ভক্তদের অভিমত, জিয়া খান আত্মহত্যা এমনিতে করেননি। এর পিছনে যে বা যারা জড়িত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের শাস্তি হোক। তথ্য: অনলাইন
This post was last modified on জুন ১৩, ২০১৩ 1:02 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশীয় সফটওয়্যারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রত্যয় নিয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, কম বয়সে চুলে পাক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের খ্যাতিমান প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের স্মার্টফোন আইফোনের বিক্রি চলতি বছরের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরীমণি প্রথমবারের মতো তিনি পুত্র সন্তানের মা হন ২০২২ সালের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েল রাফায় হামলা চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলা হয়েছে থাকে এই ধরনের ধাঁধার সমাধান করার অভ্যাস আমাদের…