দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড উভয়ই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিনিয়ত অক্সিজেন গ্রহন করছি এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করছি। আজ আমরা পরীক্ষা করে শিখবো অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মধ্যে কোনটি আগুনের বন্ধু এবং কোনটি শত্ররু।
অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড উভয়ই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিনিয়ত অক্সিজেন গ্রহন করছি এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করছি। আমাদের যেমন বন্ধু আছে ঠিক তেমনি আগুনের তো বন্ধু থাকা স্বাভাবিক। বন্ধুর কাজ হচ্ছে অপর বন্ধুকে সাহায্য করা। সে যেন সহজে তার চলার পথকে প্রসারিত করতে পারে। আগুনের বন্ধুর ও একই কাজ। বিজ্ঞান আমাদের এমন কিছু বিশেষ জ্ঞান দিয়ে থাকে যা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। সাথে অনেক আনন্দ ও পাই। আজ আমরা শিখবো অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মধ্যে কোনটি আগুনের বন্ধু এবং কোনটি শত্ররু। তাহলে চলুন শিখে নেওয়া যাক মজার পরীক্ষাটি।
এই পরীক্ষাটি করতে হলে প্রথমে আপনার লাগবে-
১। দুইটা ছোট মোমবাতি
২। একটি কাচের গ্লাস
৩। একটি ২৫০মিলি আকারের খালি বোতল
৪। বেকিং সোডা
৫। ভিনেগার
পরীক্ষা ১ঃ
প্রথমে মোমবাতি দুইটাতে আগুন জ্বালিয়ে টেবিলের উপর রাখুন। মোমবাতি দুইটা ভাল ভাবে জ্বলা শুরু করলে একটি মোমবাতিকে কাচের গ্লাসটি উপর করে ঢেকে দিন। লক্ষ্য করুন, গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া মোমবাতিটি কিছুক্ষন জ্বলার পর আস্তে আস্তে নিভে গেল। কিন্তু বাইরের মোমবাতিটি অনাসায়ে জ্বলছে।
ব্যাখ্যাঃ যখন মোমবাতিটি গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে তখন গ্লাসের মধ্যে আর অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারছে না। তাই গ্লাসের মধ্যে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় আগুন নিভে গেছে। কারণ অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলতে পারে না। আর বাইরের মোমবাতিটি বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে অনাসায়ে জ্বলছে। তাহলে আমরা আগুনের বন্ধু পেয়ে গেলাম। সুতরাং আগুনের বন্ধু হলো অক্সিজেন।
পরীক্ষা ২ঃ
এখন আমরা পরীক্ষা করবো আগুনের শত্রু কে?
প্রথমে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে নিন। এখন খালি বোতলটির মধ্যে ৩-৪ চামচ বেকিং সোডা ঢালুন। তারপর ওই বোতলের মধ্যে বেকিং সোডা গূলানোর পরিমাণ ভিনেগার ঢালুন। একটু ঝাকিয়ে নিন। লক্ষ্য করুন, ওই বোতলের মধ্যে ভিনেগার এবং বেকিং সোডা বিক্রিয়া করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরী করছে। এখন আপনি বোতলটি আলতো করে( যেভাবে পানি ঢালতে হয়) মোমবাতির আগুনের উপর কাত করুন। লক্ষ্য করুন সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিভে গেছে। কিভাবে এটা ঘটলো?
ব্যাখ্যাঃ যখন বোতলটি আগুনের উপর কাত করা হয়েছে, তখন বোতলের মধ্যে তৈরী হওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড ওই আগুনের উপর পরেছে। এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেনকে আগুনের চারপাশ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় অক্সিজেনের অভাবে আগুন নিভে গেছে। আমরা অনেকেই দেখি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেওয়ালের সাথে লাল রং এর সিলিন্ডার লাগানো থাকে এবং তার গায়ে লেখা থাকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এই সিলিন্ডারের মধ্যে মুলত কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকে। কোথাও আগুন লাগলে প্রাথমিক পর্যায়ে তার উপর কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিক্ষেপ করে আগুন নেভানো হয়। আর এই কারণেই কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে আগুনের শত্রু বলা হয়।
পোষ্টটি শেয়ার করে আপনার ছোট ভাই বোনদের বা বন্ধুদের পরীক্ষাটি শিখতে এবং জানতে সাহায্য করুন।
This post was last modified on মে ৯, ২০১৮ 2:42 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেটের মেদ ঝরিয়ে ক্ষীণকটি হতে চাইছেন? তাহলে কী করবেন? সেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে সেইফগার্ডিং কার্যক্রমের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়ন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদুল আজহার সময়টাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা ও ঘরের প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লায়েন্স…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে সাড়া জাগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালির পর এবার অস্ট্রেলিয়ায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় নিজেদের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, নামিবিয়ার এপালেলায় এটাকা জলাশয়ের পাশে…