The Dhaka Times Desk আফ্রিকার হাজার বছরের পুরোনো গাছগুলো মরে যাচ্ছে। কিন্তু হাজার বছরের পুরোনো গাছগুলো মরে যাচ্ছে তা নিয়ে যেনো রহস্যের শেষ নেই।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, আফ্রিকার সাভানাহ তৃণভূমিতে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন গাছগুলো। হঠাৎ করে সেগুলো মরে যেতে শুরু করার কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
খবরে জানা যায়, বাওব্যাব নামে এসব গাছের বয়স ১ হাজার হতে আড়াই হাজার বছর! আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশজুড়ে এসব গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা যে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে গাছগুলোর মরে যাওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে, যদিও এখনও এই বিষয়ে তাদের কাছে সরাসরি কোনো প্রমাণ আসেনি। এসব গাছ বিশাল বিশাল আকারে বড় হয়ে থাকে এবং শত শত বছর ধরে এসব গাছ বেঁচে থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা, রোমানিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলেছেন, এসব গাছ হারানো মানে হলো যেনো হঠাৎ করে বিশাল কিছু হারানোর মতোই।
গবেষক দলের অ্যাড্রিয়ান প্যাটরুট বলেছেন, ‘আমরা সন্দেহ করছি, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ুর কারণে যেসব পরিবর্তন হচ্ছে, এসব গাছের মরে যাওয়ার সঙ্গে হয়তো তার কোনো সম্পর্ক রয়েছে’। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হলে আরও গবেষণা চালাতে হবে।
গবেষকরা ২০০৫ সাল হতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর এসব প্রাচীন গাছগুলো পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। রেডিও কার্বন ব্যবহার করে তারা গাছগুলোর কাঠামো ও বয়স বের করেন।
অনেকটা হঠাৎ করেই তারা সনাক্ত করেন, ১৩টি প্রাচীন বাওব্যাবস গাছের মধ্যে ৮টি ও ৬টি বৃহৎ গাছের ৫টি মারা গেছে বা তাদের পুরনো অংশটি নষ্ট হয়ে গেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও খরার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করেন গবেষক প্যাটরুট। তিনি বলেছেন, এসব গাছের এভাবে মরে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি বিষয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, বতসোয়ানা ও জাম্বিয়া জুড়ে এসব গাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। একেকটি গাছ ১ হাজার হতে আড়াই হাজার বছরের পুরনো।
এইসব গাছের ফলের আকৃতির কারণে স্থানীয়ভাবে এসব গাছকে `মৃত ইঁদুর` গাছ বলেও ডাকা হয়ে থাকে। এসব গাছগুলো খাটো ও ডালপালা বিহীন হয়ে থাকে।
গবেষকরা বলেছেন, এসব গাছ তাদের শরীরের ভেতর অনেক পানি ধরে রাখে। যে কারণে রুক্ষ এলাকাতেও এসব গাছ নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। অপরদিকে বন্যপ্রাণীদের জন্যও এসব গাছ সহায়ক হিসাবে কাজ করে। অনেক পাখির আশ্রয়স্থল হলো এসব বিশাল আকৃতির গাছগুলো।