Categories: international news

Kim returned home with feces and urine!

The Dhaka Times Desk দুনিয়াতে কার কখন মৃত্যু হবে তা বলা যায় না। যতো নিরাপত্তা দেওয়া হোক না কেনো মৃত্যু যখন আসবে তখন তা ধরে রাখা যাবে না। কিন্তু কোরিয় নেতা কিম জং উন নিরাপত্তার জন্য বাথরুম সঙ্গে নিয়েই সিঙ্গাপুর সফরে গিয়েছিলেন। এখন আবার সেই মলমূত্র নিয়েই ফিরলেন!

নিরাপত্তা বড় বালাই যার। কারণ তিনি ও তার পদ দুটিই ভীষণ দামি একটি পদ। তিনি অর্থাৎ কিম জং উন এবং তার পদ অর্থাৎ কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক তিনি। এমনিতেই কাওকে বিশ্বাস করেন না তিনি। তাই সর্বদা আশঙ্কা, তাকে ক্ষমতা হতে সরাতে ও খুন করতে চক্রান্ত চলছে সব সময়।

তার সন্দেহ, আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান ও নিজের অধীনস্থ সেনাবাহিনীর একদল উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেনারেল তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চক্রান্তও করছে। তাই নিজের চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, গতিবিধি, রুচি-পছন্দ নিয়ে সব সময় রহস্যের ঘেরাটোপে থাকতে পছন্দ করেন এই নেতা। এমন একজন ব্যক্তি নিজের বাসভবনের বাইরে কোথাও জলস্পর্শও করেন না। এমনকী নিরাপত্তার কারণে মল-মূত্র, থুতু ফেললেও তা নির্দিষ্ট টয়লেট বক্সে সংরক্ষিত করা হয়ে থাকে। তারপর তা নির্দিষ্ট জৈব-রাসায়ানিক প্রক্রিয়ায় নষ্ট করা হয় তার সুরক্ষিত প্রাসাদের অন্দরমহলেই!

Related Posts

একটায় উদ্দেশ্য, সর্বাধিনায়ক কিমের বর্জ্য পদার্থের নমুনা যেনো কোনওভাবেই শত্রুদের হাতে না পড়ে যায়! সিঙ্গাপুরের মহাবৈঠকে এসেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিমের সঙ্গে থাকা মেডিক্যাল টিম সিঙ্গাপুরে কিমের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ নির্দিষ্ট বক্সে সংরক্ষণ করেছেন! সবটাই এয়ার চায়নার বিশেষ কার্গো বিমানে কিমের সঙ্গে তা ফেরত যাবে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে। সেখানে তা জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় নিয়ম মাফিক নষ্ট করা হবে। উত্তর কোরিয়া চায় না কিমের মলমূত্র, থুতু বা ঘামের কোনও নমুনা মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র হাতে চলে যাক। আমেরিকা ছাড়া বিভিন্ন দেশের সিক্রেট এজেন্টরা বর্তমানে ঘুর ঘুর করছে সিঙ্গাপুরে।

কিমের বর্জ্য পদার্থের স্যাম্পেল শত্রুর হাতে যাওয়া মানেই কিমের ‘ডিএনএ’ ও তার শরীরে যাবতীয় হাল হদিশ শত্রুরা অপকটে জেনে যাবেন। যে কারণে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে কিমের ব্যবহার করা চামচ, প্লেট, গ্লাস, টিস্যু পেপার যেখানে তার আঙুলের ছাপ বা মুখের লালার চিহ্ন রয়েছে সেগুলিও দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন উত্তর কোরিয়ার সেনা গোয়েন্দারা!

এর কারণ হলো, কিমের ডিএনএ-র নমুনা হতে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আরেকজন নকল কিম বা কিমের ‘ক্লোন’ তৈরি করা শত্রুদের কাছে জলভাতের মতো। আমেরিকা, রাশিয়া কিংবা ইউরোপের কোনও দেশ সেরকম কিছু করার পরিকল্পনা যে করছে না তার কি গ্যারান্টি আছে? সেরকম কিছু হলে কিম এবং উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার পক্ষে অতি বিপজ্জনক হয়ে পড়বে। তাই এসব নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চান না কিমের প্রশাসন।

জানা গেছে, কমিউনিস্ট একনায়ক কিম এই ব্যাপারে রোমানিয়ার নিকোলাই চাওসেস্কুর পথই অনুসরণ করেছেন। রোমানিয়ার কমিউনিস্ট একনায়ক চেসেস্কু একসময় এরকমই কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে বসবাস করতেন। তারপরও গণঅভ্যুত্থান ও সেনার গুলিতে নিজের অকাল মৃত্যু কিন্তু তিনি ঠেকাতে পারেননি।

কিম জং উন পৌঁছানোর আগেই পিয়ং ইয়ং হতে পণ্যবাহী আইএল-৭৬ বিমান সিঙ্গাপুর পৌঁছে গিয়েছিলো। এই বিমানে অন্য জিনিসের মধ্যে কিমের ব্যক্তিগত টয়লেট বক্সটিও ছিল। এই টয়লেটে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়কের বর্জ্য পদার্থ সংরক্ষণ করে তা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিশেষ বন্দোবস্ত রয়েছে বলে কোরিয়ার একটি নিউজ ওয়েবসাইট দাবি করেছে।

যদিও এই পদ্ধতিটি অবশ্য পুরনো। ২০০৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লুউ বুশের অস্ট্রিয়া সফরের সময় মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের আধিকারিকরা তারজন্য একটি টয়লেট বক্স সঙ্গে করে নিয়ে যান।

অনেকের ধারণা মতে, অতীতে সিআইএ-সহ বিভিন্ন গুপ্তচর সংস্থা নানা দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মল বা বর্জ্য থেকেও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছে। যে জন্য ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে মার্কিন সরকারের অতিথিশালার পরিবর্তে সোভিয়েত দূতাবাসে উঠেছিলেন মিখাইল গরবাচেভ। ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা এমআই সিক্সও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট গরবাচেভের মল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল সে সময়। এভাবেই গোপনীয় তথ্যাদি জানতে ইন্দিরা গান্ধীকেও নাকি টার্গেট করেছিল সিআইএ। সেই ভুল করতে চান না কিম জং উন।

This post was last modified on জুন ১৪, ২০১৮ 3:27 pm

Staff reporter

Recent Posts

এবার চীনও ইলন মাস্কের স্টারলিংকের আদলে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যাচ্ছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পুরো বিশ্বই প্রযুক্তির উৎকর্ষে আবর্তিত হচ্ছে। বিশেষ করে স্যাটেলাইট…

% days ago

‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ দক্ষিণী তারকা সামান্থা রুথ প্রভু!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ এবার ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য…

% days ago

ঐক্য সম্মেলনে ইরানের জাতীয় সংগীতে দাঁড়ালেন না আফগান মন্ত্রী: কিন্তু কেনো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঐক্য সম্মেলনে ইরানের জাতীয় সংগীতে দাঁড়ালেন না আফগান মন্ত্রী: কিন্তু…

% days ago

ট্রেনের দরজায় ঝুলে কেরামতি: রিল বানাতে গিয়ে লোহার স্তম্ভে বাড়ি খেলেন এক তরুণী!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলন্ত ট্রেনের পাদানিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। পাদানিতে দাঁড়িয়ে ট্রেনের…

% days ago

এই খাড়া পাহাড়গুলো দেখতে কেমন লাগছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ আশ্বিন ১৪৩১…

% days ago

রোগা হওয়ার জন্য জগিং শুরু করেছেন: কয়েকটি ভুলে সব পরিশ্রমই বৃথা যেতে পারে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুণীজনরা বলে থাকেন, ছোট ছোট লক্ষ্য আপনাকে স্থির করতে। সেই…

% days ago