The Dhaka Times Desk মন যদি সচল থাকে তাহলে বয়স কোনো বিষয়ই নয়। সেই প্রমাণ দিয়েছেন বলিভিয়ার এই নারী। ১১৮ বছর বয়ষ্ক বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এই নারী এখনও গিটারে গান করেন!
তাঁর বয়স হয়েছে ১১৮ বছর৷ তারপরও যৌবনের অভ্যাসকে এখনও ভোলেননি জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউ৷ দুর্বল কণ্ঠে, ভাঙা ভাঙা গলায় এখনও গুনগুন করে গান ধরেন সঙ্গে বাজান তাঁর অতিপ্রিয় গিটারটিও৷
বলিভিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম সাকাবারে বসবসা করেন তিনি। এই নারীকেই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে৷ তিনি নিজ চোখে দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাকে। যদিও তাঁর নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তোলার জন্য এখনও কোনও প্রস্তাব আসেনি তবুও হিসাব অনুযায়ী তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বয়ষ্ক নারী৷
গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন জাপানের নাবি তাজিমা৷ ১৯০০-এর ৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি৷ তবে চলতি বছরেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ যে কারণে জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউকেই বর্তমানে বিশ্বের জীবন্ত সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে দাবি করা হয়৷
বিলভিয়ার এই নারীকে বিশ্বের একমাত্র ‘জীবন্ত হেরিটেজ’বলে আখ্যা দিয়েছেন সাকাবার মেয়র৷ জানা গেছে, সরকারি উদ্যোগে নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তাঁর জীর্ণ বাড়িটি৷
জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউয়ের ভোটার কার্ড বলছে, ১৯০০-এর ২৬ অক্টোবর বলিভিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন৷ দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাকে নিজের চোখে দেখেছেন৷ জানিয়েছেন, সেই সময় কতো কষ্টের মধ্যদিয়ে কেটেছে তার জীবন৷
তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে নিজের জন্মস্থান ছেড়ে সাকাবা গ্রামে চলে আসতে হয়েছে৷ ওই গ্রামেই একটি ফলের দোকান ছিল জুলিয়ার পরিবারের৷ পরে নিজেও সেখানেই কাজ করতে শুরু করেন জুলিয়া৷ বিয়ে করেননি তিনি, যে কারণে পিছুটানহীন এই শতায়ু মহিলা এখন সময় কাটান পোষ্যদের সঙ্গেই৷
দিনের বেশিরভাগ সময় তাঁদের আদর করেই কেটে যায়৷ শতবর্ষ অতিক্রম করে এখনও মনের যৌবনকে ধরে রেখেছেন জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউয়৷
এর রহস্যই জানতে চাওয়া হলে নিজেই জানালেন, পাড়াতুতো নাতনি অগাস্টিন বেরনার হাতে তৈরি কেক এবং সোডা এর রহস্য৷ দিনের বেশিরভাগ সময় এটাই তাঁর একমাত্র খাদ্য৷