The Dhaka Times Desk দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার অবস্থা এখনও অপরিবর্তনীয় রয়েছে। তিনি তাঁর পূর্বপুরুষের গ্রামেই সমাহিত হতে চান এমন খবর বেরিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা এ৪ সাইজের একটি কাগজে লিখে নিজ পূর্বপুরুষের গ্রাম কুনুতে সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন। তিনি খুব সাধারণভাবে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
মেইল অনলাইন ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলা হয়, ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি এ ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য পালন করা হোক, এমনটা তিনি কখনও চাননি। তিনি তার পিতৃপুরুষের গ্রাম কুনুতে সমাহিত হতে চেয়েছেন। কুনু গ্রামের নিজের বাড়ির কাছে একটি স্থানকে নিজের সমাধিস্থল হিসেবে পছন্দ করেছেন বর্ণবাদবিরোধী এই আইকন। ২০০৮ সালে সেখানে একটি অবকাঠামো তৈরি করা হয়।
পত্রিকাটি লিখেছে, ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু না বলে মোটা দাগে তিনটি নির্দেশনা দেন ম্যান্ডেলা। এর মধ্যে একটি ছিল মৃত্যুর পর তাঁকে সমাহিত করা নিয়ে। ম্যান্ডেলা বলেন, তাঁর শেষবিদায়ের সময় যেন রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ঝামেলা করা না হয়। ইস্টার্ন কেপ অঞ্চলের কুনু গ্রামে সমাহিত হতে ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। সমাধিফলকের ব্যাপারেও পরামর্শ দেন ম্যান্ডেলা। বলেন, নামফলক যেন আড়ম্বরপূর্ণ না হয়। তাঁর ইচ্ছা, সাধারণ একটি পাথর দিয়েই হবে সমাধিফলক। ম্যান্ডেলা ৭৮ বছর বয়সে এ ইচ্ছার কথা জানান। সঙ্গে এ ইঙ্গিতও দেন, এ ইচ্ছা পরে পরিবর্তনও হতে পারে। তবে পরে আর তাঁর কোনো ইচ্ছার কথা জানা যায়নি।
এক গ্রামবাসী বলেন, মাদিবা হেঁটে হেঁটে দেখতেন সমাধিস্থল নির্মাণের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে। যারা সমাধিস্থলটি নির্মাণ করেছেন, তাদের বলা হয়েছে জায়গাটি নীরব শান্ত রাখতে। এ গ্রামেই বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। ম্যান্ডেলাকে সমাহিত করা নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। এর আগে ম্যান্ডেলার ৩ সন্তান মারা গেলে তাদের কুনুতে সমাহিত করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তাদের মরদেহ মেভজো গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এখানেই তারা ম্যান্ডেলাকে সমাহিত করতে চান। সূত্র: অনলাইন