The Dhaka Times Desk স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে মানুষের আগ্রহের যেনো শেষ নেই। এবার তেমনই একটি স্বর্ণমুদ্রার কথা অনলাইন মাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে। এই স্বর্ণমুদ্রাটি দেড় হাজার বছরের প্রাচীন!
ঘটনাটি এমন। কেন্ট ফিল্ডের একটি জমিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে একেবারে যেনো লটারি জিতলেন ৪১ বছর বয়সী র্যাচেল কার্টাল!
মেটাল ডিটেক্টর মাটিতে ঠেকাতেই যেনো একটা ধাতব শব্দ বেজে উঠলো। তখনই মাটি খোঁড়া শুরু করলেন তিনি। প্রায় ৫ ইঞ্চির মতো মাটি খুঁড়লেন র্যাচেল। উঠে এলো একটা চকলেটের র্যাপারের মতো দেখতে অদ্ভুত বস্তু। যেনো একটা মুদ্রার মতোই।
র্যাচেলের সঙ্গী রিকি প্রথমে ভেবেছিলেন, এটা নিশ্চই একটা চকোলেট হতে পারে। এমনকি র্যাপার খুলে তা খেয়ে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। রিকির কথা প্রায় মেনেও নিতে গিয়েছিলেন র্যাচেল। কিন্তু র্যাপার ভেবে খুলতে গিয়েই তার ভুল ভাঙলো।
দেখা গেলো যেটিকে তারা র্যাপার ভাবছিলেন, সেটি আসলে একটি স্বর্ণমুদ্রা। যার সঙ্গে লাগানো রয়েছে একটি ছোট সোনার আংটা। স্বর্ণমুদ্রা বুঝলেও প্রথমে তেমনভাবে পাত্তাই দেননি তারা। কতোই বা বয়স হবে? ২০০? ৩০০? নাকি তারও কম হবে!
দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই কৃষি জমিতে খোঁজ চালাচ্ছিলেন শখের প্রত্নতাত্বিকরা। তাদের ‘চোখে’ এতোদিন কিছু না পড়ায় স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে প্রত্যাশা আরও কমে গিয়েছিলো তাদের।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেছেন যে, এটির সঙ্গে ব্রিটেনের ইতিহাসও জড়িয়ে রয়েছে। প্রায় দেড় হাজার বছর বয়স এই মুদ্রাটির। ক্যান্টারবেরি আর্কিওলজিক্যাল সার্চে খবর যায় তারপর। ম্যানেজার অ্যান্ড্রু রিচার্ডসন বলেন, বাইজেন্টাইন ও ফ্র্যাঙ্কিশ সভ্যতা হতে পাওয়া উপহারও হতে পারে এই স্বর্ণমুদ্রাটি।
অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ডে মুদ্রার প্রচলনই ছিল না। হয় গয়না বানানো হতো এগুলো গলিয়ে, নইলে লকেট হিসেবে পরা হতো গলাতে। এটি আসলে স্বর্ণমুদ্রা নয়, লকেটই বলা যায়। কারণ এতে আংটার মতো একটি অংশও রয়েছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, সাতের শতকের শুরুতে কেন্টের রাজারা নিজেদের নামে মুদ্রা তৈরি করাতো। একে বলা হতো, থ্রিমসাস। এটিও কি সেই থ্রিমসাস?
উত্তর কেন্টের উপকূলেও রয়েছে রোমান এবং অ্যাংলো-সাক্সন আমলের বেশ কিছু নিদর্শন। কেন্টের ইতিহাসের সঙ্গে এই মুদ্রা কীভাবে জড়িয়ে গেলো, তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আমরা আরও অনেক কিছুই জানতে পারবো।