The Dhaka Times Desk আমরা অনেকেই বিমানে ভ্রমণ করি। যারা প্রথম বিমানে ভ্রমণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই জানা নাও থাকতে পারে। আজ জেনে নিন বিমানে উঠার সময় হাতব্যাগে যেসব জিনিস নেওয়া নিষিদ্ধ।
বিমানে ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে কাপড়ের ব্যাগ ও হাতব্যাগ গোছাতে হবে। আপনার ভ্রমণ যদি হয় বিমানে তবে সেক্ষেত্রে অনেক জিনিস নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর বড় সুটকেসে অনেক জিনিসপত্রই আপনি নিতে পারবেন। তা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে বহন করার জন্য আপনি দিয়ে দিতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে আবার অনেকেই প্রয়োজনে বা শখের বসেও বিমানে ভ্রমণ করে থাকি। অনেকেই রয়েছেন যারা প্রথমবারের মতো বিমানে ভ্রমণ করবেন। তাদের জন্য বিমানে ভ্রমণের বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। কারণ হলো বিমানে ভ্রমণের নিয়মগুলো জানা না থাকলে আপনি যাত্রাপথে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই নিয়মকানুনগুলো আজ জেনে নিন। যে কোনো সময় আপনারও কাজে লাগতে পারে।
বিমানে ভ্রমণের সময় যে বিষয়টি আপনাকে সব সময় মনে রাখতে হবে তা হলো বিমানের কেবিনে অনুমোদিত বহনযোগ্য হাতব্যাগ সম্পর্কে ধারণাটা রাখতেই হবে।আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন যে বিমানে যাত্রার সময় আপনি কোন কোন জিনিসগুলো হাতব্যাগে রাখতে পারবেন না।
বিমানের হাতব্যাগে যেসব জিনিস নেওয়া যাবে না সেগুলো হলো:
পিস্তল, যে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র (লাইসেন্স করা হলেও) নেইল কাটার, রশি, ব্লেড, মাছ, মাংস, পেন্সিল ব্যাটারি (অবশ্য এটি লাগেজেও দেওয়া নিষেধ) , বাটাল, ম্যাচ বাক্স, লাইটার (এই দুটি জিনিস লাগেজেও দেওয়া যাবে না) , প্লাস, কাচি, ছুরি, সুই-সিরিঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, কাঁটা চামচ, মরিচের গুঁড়া, সেভিং ফোম, ক্রিকেট ব্যাট, অ্যারোসল ইত্যাদি।
মূলত হাতব্যাগে যেসব জিনিসপত্রের কথা বলা হয়েছে তা বড় লাগেজে (ব্যাকেটে উল্লেখিত ব্যতিত) নেওয়া যাবে। বড় লাগেজেটি আপনি চেক ইন করার সময় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সে বহন করার জন্য দিয়ে দেবেন। এসব জিনিস চেক ইন লাগেজে আনতে পারলেও হাতব্যাগে আপনি বহন করতে পারেন না।
অবশ্য ডায়াবেটিস রোগীরা যে কোনো জরুরি মুহূর্তে ইনসুলিন বহন করতে পারবেন। বিমানে পানি, দুধ বা এই জাতীয় জিনিস বহন করা নিষিদ্ধ। তবে সঙ্গে খুব ছোট শিশু থাকলে তার খাদ্য দুধ অনুমোদন সাপেক্ষে বহন করা যায়।