The Dhaka Times Desk সৌদি আরব হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির সন্তানদের ৪০ লাখ ডলার মূল্যের বাড়ি দিয়েছে। সেই সঙ্গে তার চার সন্তানকে এখন থেকে প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার ডলার করে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তবে ওই অর্থ সহায়তা ঠিক কতোদিন পাবে তারা সে বিষযে পরিষ্কার কোনো তথ্য জানায়নি রিয়াদ। প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে। মার্কিন এই দৈনিকের কলামিস্ট জামাল খাশোগি সৌদি রাজপরিবার এবং সরকারের সমালোচক ছিলেন। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হতে সমালোচক ছিলেন। প্রখ্যাত এই সাংবাদিককে গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে রিয়াদের একটি ঘাতক দলের সদস্যরা নির্মমভাবে হত্যা করে।
১৫ সদস্যের ওই ঘাতক দলকে রিয়াদ হতে পাঠানো হয়েছিল। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে জামাল খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে রিয়াদ। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহের সন্ধান মেলেনি।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, খাশোগির দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে দেওয়া বাড়ি এবং অর্থ সহায়তার উদ্দেশ্য হলো খাশোগির পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বোঝাপড়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা; যাতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্য-বিবৃতিতে লাগাম টানেন, মূলত সেটিই নিশ্চিত করা।
মার্কিন এই দৈনিক আরও বলেছে, খাশোগির সন্তানদের দেওয়া বাড়িটি বন্দরনগরী জেদ্দায় অবস্থিত; যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ ডলার। খাশোগির বড় ছেলে সালাহ সৌদি আরবে বসবাস অব্যাহত রাখার পরিকল্পনাও করেছেন। অপরদিকে তার অন্য ভাই ও বোনেরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন; তারা ওই বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
এছাড়া বাড়ির পাশাপাশি সন্তানরা মাসে ১০ হাজার ডলার বা আরও বেশি অর্থ সহায়তা পাবেন; যা কয়েক লাখ ডলারও হতে পারে।
উল্লেখ্য, সৌদির প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই রাজপরিবারের সমালোচক ও স্বেচ্ছা নির্বাসিত এই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তবে সৌদি আরব বলছে, যুবরাজ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে রিয়াদ জানায়, দুর্বৃত্ত অ্যাজেন্টদের সঙ্গে হাতাহাতির কারণে মারা গেছেন জামাল খাশোগি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সৌদির প্রতিরক্ষা বাহিনীর ও যুবরাজের ঘনিষ্ঠ ১১ সদস্যের বিচারও চলছে।