The Dhaka Times Desk কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভারতের উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসে আলো-পানি বিহীন রাত কাটিয়েছেন। প্রদেশটির বারানসিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে গত শুক্রবার তাকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার রাতে রাজ্য সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে ফিরে যেতে বলেছেন। তবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে কোনো মতেই যাবেন না।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকার বিনিময়ে প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তির প্রস্তাবও দেয় রাজ্য সরকার। গেস্ট হাউসের আলো-পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এভাবেই এখানে ১০ দিন থাকতে হলেও থাকবো। তবে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে আমি ফিরববো না।’
রাতে বেশ কয়েকটি টুইট করেন, আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে বারানসি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রজভূষণ অন্যান্য শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে চুনার দুর্গ নামে ওই গেস্ট হাউসটিতে যান। শুক্রবার তাকে আটক করার পর সেখানেই রাখা হয়।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকার বারানসির এডিজি ব্রজভূষণ, মির্জাপুরের কমিশনার দীপক আগারওয়াল ও ডিআইজিকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন এটিই বলার জন্য যে, ওইসব পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে আমার চলে যাওয়া উচিত। তারা শেষ পর্যন্ত এখানে অপেক্ষাও করেছেন।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও লিখেছেন যে, ‘তারা আমাকে কেনো কাস্টডিতে নিয়েছে তার ব্যাখ্যা আমাকে দিতে পারেননি, এমনকি তারা আমাকে কোনো কাগজও দেখাতে পারেননি। আজ হাসপাতালে একজন ১৭ বছরের বাচ্চাকে দেখলাম। তার পেটে গুলি লেগেছে। আমার সন্তানের মতোই তার বয়স হবে। তার মা গুলিবিদ্ধ হয়ে পাশের বিছানায় শুয়ে রয়েছে। রাজ্যে আইন কোথায়?’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অপর একটি টুইটে বলেছেন যে, ‘আমার আইনজীবীর তথ্য অনুযায়ী, আমাকে আটক করার বিষয়টি সব দিক থেকেই একেবারে বেআইনি। তারা আমাকে উচ্চপর্যায়ের কথা বলছেন। তবে উচ্চপর্যায়টা কারা সেটি জিজ্ঞেস করলে তখন কিছুই বলতে পারছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, আমি কোনো আইন লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্যে এখানে আসিনি, আমি এসেছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে শুধু দেখা করতে। আমি তাদেরকে বলেছি যে, আমি সেসব পরিবারের সঙ্গে কথা না বলে কোনোভাবেই ফিরে যাবো না।’
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভারতের উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রা জেলায় নারীসহ ১০ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ওই গ্রামে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। অপরাধ বৃদ্ধি ও আইনের শাসন নেই বলে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের কঠোর সমালোচনা মুখর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।