Categories: Picturesque

Terrible all railroads

The Dhaka Times Desk ট্রেন আমাদের সকলের কাছে খুবই পরিচিত ও পছন্দের একটি বাহন। ট্রেন ভ্রমণ করতে আমাদের সকলেরই খুবই ভালো লাগে। তবে এই নিরাপদ রেলপথও কখনও কখনও ভয়ংকর হতে পারে। আজ সেগুলো দেখে নিন।

ট্রেনকে ধরা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ যানবাহন গুলোর মাঝে একটি অন্যতম নিরাপত্তামূলক বাহন। ট্রেনযাত্রা অনেকের কাছেই খুবই আনন্দদায়ক ও রোমাঞ্চকর একটি যাত্রা হয়ে থাকে তাই ট্রেনে চড়তে সকলেরই খুবই ভালো লাগে। রেলপথের জন্য তৈরি করা হয় সুবিধা মূলক ও নিরাপত্তামূলক রাস্তা বা ট্র্যাক। তবে এই নিরাপত্তামূলক রাস্তার বা ট্র্যাক এর মাঝেও পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু রেলওয়ে ট্র্যাক রয়েছে যা ভ্রমণ করার জন্য শুধু বিপজ্জনক নয় ভয়ঙ্কর ও খুবই শ্বাসরুদ্ধকর একটি কাজ। এমন শ্বাসরুদ্ধকর কয়েকটি রেলওয়ে ট্র্যাক ও ব্রিজ সম্পর্কে আজকে আমরা তুলে ধরব আমাদের লেখাতে।

নরিজ দেল ডায়াবলো

নরিজ দেল ডায়াবলো আন্দিজ পর্বত দিয়ে যাওয়া একটি বিপদজনক রেলপথ। এই বিপদজনক রেলওয়ে ট্র্যাক টি ইকুয়েডরে অবস্থিত রয়েছে। নরিজ দেল ডায়াবলো একটি বিপদজনক রেলপথ যা তৈরি করা হয়েছে ইকুয়েডরে এবং এটি পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে চলমান। আকারের ক্ষেত্রে এই জায়গাটি পাহাড়ের একটি অংশ মানুষের নাকের মত এবং উপর দিয়ে ঘুরে ফিরে একটি ভয়ংকর রেলপথ ও ভয়ঙ্কর পরিবেশে পরিণত হয়েছে। এই রেল পথটি খুবই আঁকাবাঁকা এবং খুবই জিগজ্যাগ যার কারণে এটি বিখ্যাত তার বিপদজনক পরিস্থিতিতে। রেলপথটি মূলত পাহাড় কেটে তৈরি করা হয় যার ফলে এর একপাশে আন্দিজ পর্বতমালা এবং অপর পাশে রয়েছে সুবিশাল খাদ যা দেখতে খুবই ভয়ঙ্কর। এই রেলওয়ে ব্রিজ এবং আশেপাশের পরিবেশ এতটাই ভয়ঙ্কর যে যাত্রী পথে আরোহীদের বুক কেঁপে উঠবে। এই নরিজ দেল ডায়াবলো রেলপথের উচ্চতা সকলের নজর কাড়ে একটি উচ্চতা প্রায় ১১ হাজার ৮৪১ ফুট যার নির্মাণ শুরু করা হয় ১৮৯৯ সালে।

Related Posts

কুম্ব্রেস অ্যান্ড টলটেক সিনিক রেলরোড

জনপ্রিয়তার দিক থেকে কুম্ব্রেস অ্যান্ড টলটেক সিনিক রেলরোড এর কথা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো থেকে কলোরাডো পর্যন্ত সকলের অবগত। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উঁচু ও শুরু রেলপথের মধ্যে একটি সর্বসেরা এবং এটি একটি পুরনো রেলপথ। এর উৎপত্তি সান জুয়ান পর্বতমালার খনন কার্যক্রম কে সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল যা বর্তমানে মানুষের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কুম্ব্রেস অ্যান্ড টলটেক সিনিক রেলরোড ১৮৮০ সালে নির্মাণ করা হয় যা প্রায় ৮০ মাইল লম্বা এবং তিন ফুট চওড়া একটি রেলপথ। এই রেলপথ দিয়ে ট্রেন প্রায় ১০৩ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে এবং উচ্চতার দিক দিয়েও এই রেলপথ খুবই আলোচিত এটি প্রায় ১০ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। উচ্চতার কারণে এই রেলপথ দিয়ে এখনও কয়লা ও বাষ্প চালিত ট্রেন অনায়াসে যাতায়াত করে থাকে।

ট্রেন এ লাস নুবেসে

বিপদজনক রেলপথ এর আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে সেরা ও ভয়ঙ্কর রেলপথের নাম ট্রেন এ লাস নুবেস। এটি এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিবেশের ও ভয়ঙ্কর রেলপথ যা আর্জেন্টিনার সালতা প্রদেশে অবস্থিত। এটি আন্দিজ পর্বতমালা দিয়ে উত্তর-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা হয়ে চিলি সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৯২১ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করে হলেও প্রায় সাতাশ বছর পর রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয় যা পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য ১৯৪৮ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ হাজার ২২০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত যা তৈরি করা ছিল একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর্জেন্টিনার সালতা প্রদেশের ট্রেন এ লাস নুবেস ছিল সকলের কাছে একটি আতঙ্কের নাম কারণ এটি নির্মাণ করতে প্রায় ৪০০ জন শ্রমিক তাদের প্রাণ হারায়। এর মধ্যে চলাচল এতই রোমাঞ্চকর যে ব্রিজ থেকে নিচে তাকালে মনে হবে মেঘের মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলছে। রেলপথটি খুবই আঁকাবাঁকা যার মধ্যে রয়েছে ২৯ টি ব্রিজ এবং ২১ টি ট্যানেল। এই রেলপথের চারপাশের কিছু কিছু অংশে কাদা মাটির রাস্তা রয়েছে যার ফলে ট্রেনটি যেকোনো সময় পিছলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে সেদিকে লক্ষ্য করে ট্রেন চালানোর সময় খুবই সতর্কতার সাথে এটি চালানো। অনেকেই শখের বশে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ফেরোক্যারিল সেন্ট্রাল অ্যান্ডিনো

পেরুতে অবস্থিত ফেরোক্যারিল সেন্ট্রাল অ্যান্ডিনো রেলপথ টি খুবি বিপদজনক একটি রেলপথ এর মধ্যে অন্যতম একটি রেলপথ। ফেরোক্যারিল সেন্ট্রাল অ্যান্ডিনো রেলপথটি প্রশান্ত মহাসাগরে বন্দর থেকে শুরু হয়ে রাজধানী লিমা অতিক্রম করে সেরোদে পাসকর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ১৮৭১ সালে পলিশ ইঞ্জিনিয়ার আর্নেস্ট ম্যালিনোভস্কির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শুরু করা যা পাঁচ বছর পর ১৮৭৬ সালে শেষ হয়। এটি প্রায় ৫৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলপথ। উচ্চতার দিক দিয়ে এটি প্রায় ১৬ জাহার ফুট উঁচুতে আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত। ফেরোক্যারিল সেন্ট্রাল অ্যান্ডিনো রেলপথে ৬৫ টি টানেল অবস্থিত যা পাহাড় কেটে তৈরি করা হয় এবং এর সাথে রয়েছে আরো ৬১ টি ব্রিজ।

জর্জটাউন লুপ রেলপথ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর ক্লিয়ার ক্রিক কাউন্টির রকি পর্বতমালায় অবস্থিত ‘জর্জটাউন লুপ রেলপথ পৃথিবীর বিপজ্জনক রেলপথগুলোর মধ্যে অন্যতম যা অনেকের কাছেই খুবি জনপ্রিয় একটি রেলপথ। বিপদজনক এর পাশাপাশি রেলপথ পৃথিবীর সুন্দর রেলপথ গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম রেলপথ। ‘জর্জটাউন লুপ রেলপথের ভয়ঙ্কর দিক থেকে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে এটির একটি অংশ যা ডেভিলস গেট হাইব্রিজ নামে পরিচিত। রেলপথ ১৮৮৪ সালে নির্মাণ করা হয় যা মাটি থেকে ১৯৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এটিতে মূলত যাত্রীবাহী ও মালবাহী দুধরণের ট্রেন চলাচলের জন্যই ব্যবহার করা হয়ে থাকত। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালে এই রেলপথ বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং পরবর্তীতে ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রেলপথটি আবার খুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া পৃথিবীতে আরও ভয়ঙ্কর ও মনমুগ্ধকর কিছু রেলপথ রয়েছে যাতে চলাচল করলে রোমাঞ্চকরতার সাথে সাথে পরিবেশ ও প্রকৃতির সাথে চমৎকার সাক্ষাৎ হওয়ার পাশাপাশি যাত্রাপথ হবে আনন্দময়।

This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯ 2:10 pm

Staff reporter

Recent Posts

Keeping ghee in a slimming diet is healthy! But do you know that any mistake can cause great damage to the body?

The Dhaka Times Desk Many people eat ghee for weight control, but it amounts to…

% days ago

Hormonal problems decline in sex life? What do you do when you wake up?

The Dhaka Times Desk Maybe stress, menopause, eating disorders, excessive drinking...

% days ago

UCB's 'New Window of Hope' project

The Dhaka Times Desk United Commercial Bank (UCB) at KIB (Agricultural Institution Bangladesh) auditorium in Dhaka...

% days ago

Bandhan's 'Esha Murder: Karmaphal' is releasing on Eid-ul-Azha

The Dhaka Times Desk Although it was supposed to be released last Eid i.e. Eid-ul-Fitr, the release...

% days ago

Two thousand people have been buried in a landslide in Papua New Guinea

The Dhaka Times Desk A landslide in Papua New Guinea has buried at least two...

% days ago

An island where people live up to a hundred years!

The Dhaka Times Desk Today we have for you the story of an island that…

% days ago