The Dhaka Times Desk এমন এক হ্রদ যে হ্রদে নামতেই পাথর হয়ে যায় পশুপাখি! ঘটনাটি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। দক্ষিণ আফ্রিকার তানজানিয়ার উত্তর প্রান্তে রয়েছে এমন একটি হ্রদটি। এই হ্রদের নাম নেট্রন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই লবণাক্ত হ্রদে পশুপাখি নামলে আর উঠতে পারে না। পাথর হয়ে যায় পশুপাখি!
এই নেট্রন হ্রদটি দৈর্ঘ্যে ৫৭ কিলোমিটার ও প্রস্থে ২২ কিলোমিটার। এখানে এওয়াসো নায়াগ্রা নদীর পানি এসে পড়ে। আশপাশের বেশ কয়েকটি উষ্ণ প্রস্রবণের পানিও এই হ্রদে এসে পড়ে। যে কারণে বিভিন্ন খনিজে সমৃদ্ধ এই হ্রদের পানি। এই হ্রদ নিয়ে বহু কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুরই প্রমাণ আসলে ছিল না।
আজ থেকে ৮ বছর আগের কথা ২০১১ সালে নিক ব্রান্ডট নামে এক ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার নেট্রন হ্রদের সামনে গিয়ে চমকে যান। সেই সময় হ্রদের তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল অসংখ্য পশুপাখির দেহ। ব্রান্ডট জানিয়েছেন, সেগুলো দেখে মনে হচ্ছিল যেনো কোনো পাথরের মূর্তি এই হ্রদে সাজিয়ে রাখা হয়েছে!
তারপর এই রহস্য জানার জন্য শুরু হয় গবেষণা। এই গবেষণায় উঠে আসে অনেক তথ্য। এই নেট্রন হ্রদের পানিতে সোডিয়াম কার্বোনেট ও সোডার পরিমাণ অত্যধিক বেশি। এর কারণ হিসেবে পাওয়া যায় যে, প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও কার্বোনেট যুক্ত ট্র্যাকাইট লাভা দিয়ে প্রায় ২৬ লাখ বছর আগে প্লিসটোসিন যুগে তৈরি হয় নেট্রন হ্রদের তলদেশ।
বিভিন্ন পরীক্ষায় উঠে আসে যে, নেট্রন হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে ক্ষারধর্মী, এর পিএইচ ১০.৫। এই ক্ষারধর্মী পানি ত্বককে পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। যেটি মূলত পশুপাখির পক্ষে অসহনীয়।
বছরের বেশির ভাগ সময় এই হ্রদের পানির তাপমাত্রা থাকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে কারণে এই হ্রদের পানি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এর তলদেশে পড়ে থাকে পানির মতো তরল লাভা। সোডিয়াম এবং কার্বোনেটের জন্য হ্রদে জন্ম নেয় সায়োনোব্যাকটিরিয়া নামে এক অণুজীব। এই অণুজীবের শরীরেই থাকে লাল রঞ্জক। যে কারণে হ্রদের পানি লাল রঙের হতে দেখা যায়।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, এই রঙে আকৃষ্ট হয়েই পশুপাখি হ্রদে নামে। তবে পানির অতিরিক্ত ক্ষারধর্মীর জন্য পাখিগুলো আর উঠতেই পারে না, মৃত্যু হয় তাদের অবধারিত।
এই নেট্রন হ্রদের পানি ক্ষারধর্মী হলেও এই হ্রদই হলো পূর্ব আফ্রিকার লেসার ফ্লেমিঙ্গোদের সবচেয়ে বড় একটি প্রজনন ক্ষেত্র। এই হ্রদে দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ২৫ লাখ লেসার ফ্লেমিঙ্গো । কারণ এই হ্রদের অগভীর পানিতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে নীলাভ-সবুজ শৈবাল। এই শৈবাল খেয়েই মূলত তারা বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা যে, হ্রদের এই ক্ষারধর্মীর সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে এই ফ্লেমিঙ্গোরা। যে কারণে নেট্রন হ্রদের পানিতে ফ্লেমিঙ্গোদের জমাট কোনো দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
This post was last modified on অক্টোবর ১, ২০১৯ 3:28 pm
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে আরও দু'টি নতুন সিনেমা…
The Dhaka Times Desk Playing brain games clears the brain. So this kind of…
The Dhaka Times Desk good morning Friday, 17 May 2024 AD, 3 Jaishtha 1431…
The Dhaka Times Desk Even if the body lacks water, the tongue turns white. regular…
The Dhaka Times Desk Feeding only milk rice and vegetables while your baby is growing…
The Dhaka Times Desk You can tell when hours pass on Facebook…