The Dhaka Times Desk প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার হতে ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেছেন। আড়াই বছর বাদে এই দিল্লি সফরে তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে কোনও অগ্রগতি হয় কি না সে দিকে অনেকেরই নজর রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার হতে ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেছেন। আড়াই বছর বাদে এই দিল্লি সফরে তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে কোনও অগ্রগতি হয় কি না সে দিকে অনেকেরই নজর রয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন যে, তিস্তা নিয়ে পৃথকভাবে এখনই কোনও চুক্তি না-হলেও ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবন্টন তথা বেসিন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী দিনে হয়তো এই সমঝোতাই তিস্তা চুক্তির ভিত গড়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক পরিবেশ ঠিক কতোটা অনুকূল? সেই বিষয়টিও ভাববার বিষয়।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরেই তিস্তা চুক্তি সই হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে হয়নি।
সিকিমের পাওহুনরি হিমবাহে উৎপত্তির পর প্রায় ২শ’ মাইল পথ বেয়ে তিস্তা নদী ব্রহ্মপুত্রে গিয়ে মিশেছে বাংলাদেশের ভেতরে। এই নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বহু বছরের যে জটিলতা বিদ্যমান, তা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে সম্প্রতি দিল্লিতে বেশ তৎপরতাও চোখে পড়ছে।
বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো শ্রীরাধা দত্ত বলছিলেন যে, বাংলাদেশের একটা বহুদিনের দাবি ছিলো ৫৪টা অভিন্ন নদী নিয়েই একটা সর্বাত্মক চুক্তি স্বাক্ষর করা হোক। আমার ধারণা এবার সেই ব্যাপারে ভারত নীতিগতভাবে রাজিও হয়ে যাবে।
যাতে করে ওই সব নদীগুলোকে কভার করে সেগুলোর বেসিন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়। পৃথক করে প্রতিটি নদী নিয়ে হয়তো এখনই কিছু হবে না, তবে তিস্তা-সহ সবগুলো নদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এমন একটা ফ্রেমওয়ার্ক কিংবা কাঠামো তবে হতে পারে বলেই আমরা শুনতে পাচ্ছি।
কিছুদিন আগেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মধ্যে একান্ত বৈঠকও হয়েছে। আড়াই বছর বাদে এই প্রথম দুজনের মুখোমুখি দেখা হলেন, সেখানেই তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে মমতা ব্যানার্জি সুর কিছুটা নরম করেছেন বলেই ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।