The Dhaka Times Desk সত্যিই এক ব্যতিক্রমি খবর এটি। কারণ হলো জাতিসংঘের মতো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হতে পারে তা কি কখনও ভাবা যায়?
সত্যিই এক ব্যতিক্রমি খবর এটি। কারণ হলো জাতিসংঘের মতো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হতে পারে তা কি কখনও ভাবা যায়? এবার সত্যিই এমন একটি খবর সকলকে বিস্মিত করেছে। জাতিসংঘের মতো এমন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্থ সংকটে চালানো যাচ্ছে না তা সত্যিই হাস্যকর মনে হয়। তবে ঘটনাটি সত্য। কারণ বিভিন্ন দেশের দেওয়া অর্থ দিয়েই চলে এই সংস্থাটি। যে কারণে দেশগুলো তাদের অর্থ না দেওয়ায় সংস্থাটির এমন হাল হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, চরম আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হতে চলেছে জাতিসংঘের সদর দফতর। সংস্থাটি জনিয়েছে যে, অর্থ সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতর ১৯ এবং ২০ (শনিবার-রোববার) বন্ধ রাখা হবে। গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম টুইটারে অফিসিয়াল পেজে দেওয়া এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এই বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন যে, গত এক দশকে এমন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হয়নি আন্তর্জাতিক এই সংস্থা জাতিসংঘকে। ৬০টি দেশের কাছ থেকে জাতিসংঘের প্রাপ্য অর্থ এখন পর্যন্ত আদায় করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে চলতি অর্থবছরে প্রায় ১৪০ কোটি ডলারের ঘাটতি দেখা যায়।
জানা যায়, ইতিপূর্বেও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস প্রতিষ্ঠানটির চরম আর্থিক সংকটের কথা জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অর্থ সংকটের কারণে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সদর দফতরের ভেতরে থাকা এসি ও এসক্যালেটরগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল সংস্থাটি। এবার পুরো সদর দফতরই দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া অর্থের ওপরই নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক এই সংস্থা জাতিসংঘ। রাষ্ট্রগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ না করার কারণে তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হয়েছে এই সংস্থাটিকে। এমন সংকটের কারণ হিসাবে সদস্য দেশগুলো জাতিসংঘের বাজেটে অর্থ প্রদান করেছেন কি না সে প্রশ্নই ছুড়ে দিয়ে টুইট বার্তায় জাতিসংঘ বলেছে, আপনার দেশ কী এখনও জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের অর্থ প্রদান করে আসছে?