The Dhaka Times Desk সম্প্রতি স্মার্টওয়াচের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বব্যাপী। বর্তমানে ফোনের মধ্যে কল আসার পর ফোনকে পকেট থেকে বের করে হাতে তুলে রিসিভ করা অথবা পরিত্যগ করার জন্য কষ্ট করতে হয়না।
আপনি খুব সহজে আপনার স্মার্টওয়াচের দ্বারা আপনার ফোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। স্মার্টওয়াচের দ্বারা ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কল রিসিভ করা, কল কাটা, ছবি তোলা, গান শোনা সহ সকল ধরনের কাজ খুব স্বাচ্ছন্দের মাধ্যমে করা সম্ভব। বর্তমানে স্মার্টওয়াচের দিকে আগ্রহ প্রকাশ করে চলেছেন বিশ্বব্যাপী সকলেই। বরাবরের মতো এবারও নতুন ধরনের প্রযুক্তিগত পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। নতুন নতুন সকল পন্যের মাঝে এবারের আইফোন এর বড় চমক আই রিং বা স্মার্ট আংটি। আমাদের স্মার্টওয়াচের সকল কাজ এবার সম্ভব হবে ছোট পরিসরে।
সম্প্রতি আপেল নতুন এক আংটি নিয়ে বিশ্বকে মাতাবেন বলে ধারনা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। অ্যাপেলের নতুন স্মার্ট আংটিতে থাকবে ছোট টাচস্ক্রিন সুবিধা যার ফলে ইনপুট ডিভাইস হিসেবে মাউস এর মত কাজ করাও সম্ভব হবে। আমাদের হাতের স্মার্ট ফোনটিকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এর দ্বারা। এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আবেদন করেছিল নানান প্রতিষ্ঠান ২০১৫ সালের দিকে তবে সম্প্রতি এই নতুন ধরনের ডিভাইসের জন্য আবেদন অনুমোদন পেয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটেন্ট এন্ড ট্রেডমার্ক অফিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রকাশিত করা হয় যে এটি হবে আঙ্গুলে পড়ার মতো একটি ডিভাইস যাতে টাচস্ক্রিন সুবিধা পাশাপাশি ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা প্রদান করা হবে। এই চমৎকার ডিভাইস দ্বারা খুব সহজ ইনপুট ডিভাইস নিয়ন্ত্রন করা হবে যা খুবই মনোমুগ্ধকর একটি ফিচার এই ডিভাইসের ক্ষেত্রে। এছাড়া এই ডিভাইসে কম্পিউটার প্রসেসর, ওয়ারলেস ট্রান্সিভার, রিচার্জ করার সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে।
এই ডিভাইসের মধ্যে থাকবে বিল্ট ইন করা নানাবিধ প্রোগ্রাম যা আঙুলের নড়াচড়া শনাক্ত করবে এবং এটিতে দিকনির্দেশক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার মত বিচার প্রদান করা হবে। ধারনা করা হচ্ছে অ্যাপেল দুটি স্মার্ট আংটি তৈরি করতে পারে যার মধ্যে একটিতে থাকতে পারে ছোট আকারের টাচস্ক্রিন এবং অপরটিতে থাকবে বড় আকারের একটি ডিসপ্লে। এতে ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক মোশন সেনসর ও টেক্সট শনাক্তকরণ প্রযুক্তি যার দ্বারা এটি পাবে প্রযুক্তিগত পরিপূর্ণতা। এই রিঙের বড় ডিসপ্লের আঙ্গুলের ইশারায় নানা কাজ করা সম্ভব হবে। স্মার্ট আংটি নিয়ে আমাজনের মত বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে চলেছে তবে তাদের ইকো লুপ নামের ওই ডিভাইস এখনো তাত্তিয় পর্যায়ে রয়েছে যা ম্যানুফ্যাকচার করা এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি।