The Dhaka Times Desk ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনের এক তথ্যে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সোনি দেবী (২০)। বিহারের বৈশালী জেলার নয়াগ্রামে বসবাস করেন স্বামী মণীশ রামের সঙ্গে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনের এক তথ্যে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সোনি দেবী (২০)। বিহারের বৈশালী জেলার নয়াগ্রামে বসবাস করেন স্বামী মণীশ রামের সঙ্গে।
মনের মিলের দিক দিয়ে এই দম্পতির কোনো কমতি নেই। তাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার একটাই কারণ- আর তা হলো অপরিচ্ছন্নতা। মণীশ বরাবরই খুবই অপরিচ্ছন্ন একজন ব্যক্তি। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কোনো ঋতুতেই গোসল করেন না তিনি। সকালে উঠে দাঁত মাজতেও অনীহা রয়েছে তার।
এখন সোনী দেবী বলেছেন যে, এভাবে অনেক দিন ধরে চলেছে তবে আর নয়। এই অপরিচ্ছন্ন ব্যক্তির সঙ্গে একই বিছানায় আর থাকতে চান না তিনি। আমি এখন বিচ্ছেদ চাই। ২০১৭ সালে মণীশ রামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সোনী দেবী। তখনই বুঝতে শুরু করেন যে, তার স্বামী অন্যদের থেকে একদমই আলাদা-অপরিচ্ছন্ন একজন মানুষ।
সোনী দেবীর অভিযোগ হলো, শুরুতে শাশুড়ির ভয়ে মাঝে মধ্যে গোসল করতেন। সকালে দাঁতও মাজতেন মাঝে মধ্যে। তবে শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর হতে নিজের ব্যাপারে সে একেবারই গা ছাড়া দিয়েছেন। টানা ৮ হতে ১০ দিন গোসল করতেন না মণীশ। দাঁত মাজা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কোনো উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন সোনি দেবী। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এক কথায় ও আমার জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে। তাই এবার আমাকে মুক্তি দিন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সোনী দেবী প্রথমে মামলা করেন মহিলা কমিশনে। তবে এখনই হচ্ছে না এই বিবাহ বিচ্ছেদ। মহিলা কমিশন সোনিকে এখনই বিবাহ বিচ্ছেদ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা আরও দুমাস দুজনকে একসঙ্গে থাকার পরমার্শও দিয়েছেন। পাশাপাশি মণীশকেও নিয়মিত গোসল এবং ব্রাশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার পক্ষ হতে মণীশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, আমি তার সঙ্গেই থাকতে চাই। একই সঙ্গে, নিজের জীবনাভ্যাসে পরিবর্তন আনবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মণীশ।