The Dhaka Times Desk বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর সিনেমা। এটি নির্মাণের জন্য মুম্বাইয়ের পরিচালক শ্যাম বেনেগালকে বেছে নেওয়া হয়।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বলিউডের ৮৩ বছরের এই প্রবীণ পরিচালক ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন। বর্তমানে চলছে বিভিন্ন চরিত্রের শিল্পী নির্বাচনের কাজ। ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে, সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধুর মা শেখ সায়েরা খাতুনের চরিত্রে অভিনয় করছেন দিলারা জামান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চরিত্রে তৌকির আহমেদ ও খন্দকার মোশতাকের চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু অভিনয় করবেন বলে জানা যায়।
এদিকে একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি এফডিসিতে এই চরিত্রে অডিশনও দিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবরটি যাচাই করতে নাবিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, আমি এখনও নিশ্চিত নই কোন চরিত্রে সুযোগ পাচ্ছি বা আদৌ অভিনয়ের সুযোগ পাবো কী না। আমি কেবলমাত্র অডিশন দিয়েছি বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম মুজিবের চরিত্রে। হতে পারে অন্য কোনো চরিত্রেও আসতে পারি। এটা নিতান্তই সিনেমাটির পরিচালক এবং তার টিমের উপর নির্ভর করছে।
জানা যায়, নাবিলা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কিশোরী বয়সের চরিত্রে অভিনয় করবেন। তার চরিত্রটি হাজির হবে ‘রেনু’ নাম নিয়েই। কারণ বেগম মুজিবকে ভালোবেসে এই নামেই ডাকতেন বঙ্গবন্ধু।
চাচাতো ভাই শেখ মুজিবের সঙ্গে শেখ ফজিলাতুন্নেসার যখন বিয়ে হয়, তখন তার বয়স খুবই কম ছিলো। ওই সময় শেখ মুজিব পড়ালেখা করার জন্য বাবার সঙ্গে গোপালগঞ্জেই থাকতেন। রেনু থাকতেন গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় শ্বাশুড়ির তত্বাবধানে।
স্বামীর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার সুচনা সেই শিশু বয়স হতেই। তবে সে ব্যাপারে তার আফসোস কিংবা অভিযোগ বা কোনো রকম অতৃপ্তি ছিল না। বরং সেই শিশু বয়স হতেই তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন দেশ-মাতৃকার সেবায় স্বামী এবং স্বামীর ভালোবাসাকে উৎসর্গ করবেন বলেই। বলা চলে এই অনেকটা নিজের জীবনটাকেই উৎসর্গ করে দেওয়া যাকে বলে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা কিংবা মুক্তিসংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য এক অংশই হলেন বেগম মুজিব। বঙ্গবন্ধুর জীবনীতে এই মহীয়সীর ভূমিকা উঠে আসবে শ্যাম বেনেগালের নির্মাণ শৈলিতে।