The Dhaka Times Desk মনটাকে প্রকৃতির আশ্বাদ্বন দিতে হলে আপনাকে বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরতে হবে। তাই আপনি ঘুরে আসতে পারে রাঙ্গামাটির হাজাছড়া ঝর্ণা হতে। আপনার মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে!
হাজাছড়া ঝর্ণা বা শুকনাছড়া ঝর্ণা নামে পরিচিত জলপ্রপাতটি পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকাতে অবস্থিত। স্থানীয় আদিবাসীরা ঝর্ণাটিকে চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্ণা (অর্থাৎ মন প্রশান্তি ঝর্ণা) নামেও ডাকেন। ঝর্ণাটি রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত হলেও খাগড়াছড়ি হতে সহজেই ঝর্ণাটি দেখতে যাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলা হতে হাজাছড়া যাওয়ার পথে প্রকৃতির অপূর্ব ক্যানভাস যেনো হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মাইনী নদীর জলধারা, রাস্তার দু’পাশে আদিবাসীদের ঘরবাড়ি, জুম চাষের ক্ষেত ও সবুজে ঘেরা ঝিরিপথ অভিযাত্রীদের যেনো স্বাগতম জানায় হাজাছড়া ঝর্ণার রূপে অভিভূত হতে।
বেশিরভাগ পর্যটকরা সাজেক ভ্যালী ঘুরে ফিরে যাওয়ার পথে হাজাছড়া ঝর্ণা দর্শন করতে যান। বাঘাইছড়ি উপজেলার ১০ নম্বর রাস্তা হতে ১৫ মিনিট ঝিরিপথ ধরে হেঁটে পৌঁছানো যায় হাজাছড়া ঝর্ণার পাদদেশে। অসাধারণ এই ঝর্ণার পানিতে গা ভেজানো থেকে বঞ্চিত হলে হাজাছড়া ঝর্ণা দেখার উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে অপূর্ণই থেকে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
হাজাছড়া ঝর্ণাতে বলা যায় সারা বছরই কমবেশি পানি থাকে। শীতে পানির প্রবাহ কমে গেলেও বর্ষায় ঝর্ণাটি যেনো পূর্ণ যৌবন ফিরে পায়। তাই শীতের আগে এবং বর্ষার শেষে হাজাছড়া ঝর্ণা দেখতে গেলে ঝর্ণাটির প্রকৃত সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন আপনি।
বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত হতে হাজাছড়া ঝর্ণা দেখতে যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে খাগড়াছড়ি আসতে হবে। রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, কলাবাগান ও ফকিরাপুল হতে সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়ার বিভিন্ন বাস সার্ভিস রয়েছে। আপনার পছন্দ ও বাজেট অনুযায়ী শান্তি পরিবহন, এস আলম, সৌদিয়া বা শ্যামলী পরিবহন হতে যেকোন একটিকে ভ্রমণ সঙ্গী হিসাবে আপনি বেছে নিতে পারেন। বাসভেদে এসি/নন-এসি জনপ্রতি টিকেটের ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা হতে ৭০০ টাকা। ছুটির দিনগুলোতে যেতে চাইলে আগে থেকেই টিকেট কেটে রাখা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নইলে পরে টিকেট পেতে বেশ ঝামেলা হতে পারে।
চট্রগ্রামের কদমতলী হতে সারাদিনে ৪টি বিআরটিসি এসি বাস খাগড়াছড়ির পথে চলাচল করে থাকে, ভাড়া লাগে ২০০ টাকা। অক্সিজেন মোড় হতে ১ ঘণ্টা পর পর শান্তি পরিবহনের (যার ভাড়া ১৯০টাকা) বাস চলাচল করে থাকে। চট্রগ্রাম হতে বাসে করে খাগড়াছড়ি যেতে সময় লাগবে ৪ হতে ৫ ঘণ্টার মতো।
খাগড়াছড়িতে বাস হতে নেমে মটর সাইকেল, বাস, চান্দের গাড়িতে চড়ে দিঘীনালায় যেতে হবে। কিংবা ঢাকা থেকে শান্তি পরিবহনের বাসে সরাসরি দিঘীনালা যেতে পারবেন। দিঘীনালা বাসস্ট্যান্ড হতে মোটরবাইক বা চাঁদের গাড়িতে চড়ে বাঘাইহাটের আগে ১০ নম্বরে আপনাকে নামতে হবে। ১০ নম্বর হতে ঝিরিপথে ১৫ মিনিট হাটলেই হাজাছড়া ঝর্ণায় পৌঁছানো যাবে।
হাজাছড়া ঝর্ণার আশেপাশে খাওয়া-দাওয়ার করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই সবচেয়ে ভালো হবে ঝর্ণায় যাওয়ার সময় শুকনো খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি নিয়ে যাওয়া। খাগড়াছড়ি শহরের কাছে পানখাই পাড়ায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সিস্টেম রেস্টুরেন্টও। খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে চাইলে আপনাকে ওখানেই খেতে হবে। যোগাযোগ: 0371-62634, 01556-773493, 01732-906322। যদি আপনার হাতে সময় থাকে তাহলে কাছেই নিউজিল্যান্ড পাড়া থেকেও ঘুরে আসতে পারেন ইচ্ছে করলে। সেখানে এক প্রাকৃতিক পরিবেশ বিদ্যমান।
হাজাছড়া ঝর্ণা দেখে রাত্রিযাপন করতে চাইলে আপনাকে খাগড়াছড়িতেই থাকতে হবে। পর্যটকদের থাকার সুবিধার জন্য খাগড়াছড়িতে বেশকিছু আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে পর্যটন মোটেল (0371-62084, 0371-62085), জিরান হোটেল (0371-61071), হোটেল শৌল্য সুবর্ণ (0371-61436), হোটেল লিবয়ত (0371-61220), চৌধুরী বাডিং (0371-61176), ফোর ষ্টার (0371-62240), থ্রি ষ্টার (0371-62057), উপহার (0371-61980), হোটেল নিলয় (01556-772206) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেল রয়েছে। এগুলোর যে কোনো একটিতে আপনি থাকতে পারবেন।
Source: https://vromonguide.com
This post was last modified on ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০ 9:41 am
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাঁত মাজার পর সঙ্গে সঙ্গেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৬ জুন মেহেরপুর জেলার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক…
The Dhaka Times Desk In the budget of the fiscal year 2024-25 announced by the government, the information and communication technology sector...
The Dhaka Times Desk This time, Dhakai film superstar walked the ramp with a bunch of heroines of the country...
The Dhaka Times Desk Another European country has favored the recognition of an independent Palestinian state.
The Dhaka Times Desk A young man was admitted to the hospital with stomach pain. Experiment later…