Dhaka Times Report. বাংলাদেশকে বেশির ভাগ সময় আইএমএফের ঋণের উপর নির্ভর করতে হয়। আর তখন আইএমএফ নানা ধরণের শর্তারোপ করে থাকে। তারপরও সেই শর্ত মেনে নিয়েই ঋণ নিতে হয়। এই সংস্থাটি সব সময় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঋণ সুবিধা দিয়ে আসছে। কিন্তু সেই সাহায্য সব সময়ই শর্তের মধ্যে থাকে।
সভায় জানানো হয়, বতর্মানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথার ওপর প্রায় ১১ হাজার টাকার বৈদেশিক ঋণের বোঝা চেপে রয়েছে। আইএমএফ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিলে মাথাপিছু ঋণ আরও বাড়বে। এছাড়া আইএমএফের ১০০ কোটি ডলার ঋণ পেতে যে ১৭টি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশই বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকারক। সরকার ইতিমধ্যে শর্ত পূরণে উঠেপড়ে লেগেছে। সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম দু’বার বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম আরও বাড়ানো হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদ রেপো ও রিভার্স রেপোর সুদ হার বৃদ্ধি করা হয়েছে, ব্যাংক ঋণের সুদ হারের উচ্চসীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ব্যাংক ঋণের সুদ হারের সীমা প্রত্যাহার করায় শিল্পখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার কারণে প্রত্যক্ষভাবে কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। এর ফলে শিল্প-উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। সব কিছুর ফল গিয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, যাতায়াত খরচসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে এবং আরও বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এমএম আকাশ বলেন, দেশের ক্ষতি হয় এমন শর্তে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার আছে কি-না তা আবার ভেবে দেখতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে ব্যাংকিং খাত বেসরকারি মালিকানায় দিয়ে, সুদের হারের উচ্চসীমা তুলে দিয়ে, পাটকলগুলো বন্ধ করে ও সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে উৎপাদনশীল খাতে ঋণ কমিয়ে ১০০ কোটি ডলার নেয়া ঠিক হবে না।
বিডি রহমাতুল্লাহ বলেন, আরও লুটপাট ও কমিশন বাণিজ্য করার জন্য আইএমএফের ঋণ নেয়া হচ্ছে। এ ঋণ দেশের কোন উপকারে আসবে না। তিনি মনে করেন, আমাদের সম্পদ থাকা সত্ত্বেও সরকার আমাদের গরিব করে রেখেছে। তিনি একটি পরিস্যংখান উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের বার্ষিক আয় ২ লাখ কোটি টাকা। এ হিসেবে আইএমএফের কাছ থেকে কোন ঋণ নেয়ার প্রয়োজন নেই।
পিয়াস করিম বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র দরকার। এজন্য রাষ্ট্রের স্বার্থে সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে।
মনোয়ার মোস্তফা বলেন, আইএমএফের ঋণ নিলে অর্থনীতিতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। কারণ তারা যতগুলো শর্তারোপ করেছে তার অধিকাংশই বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য আইএমএফের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক জাগরণের মাধ্যমে রুখে দাঁড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আইএমএফের এই ঋণের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এক হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১২ 9:39 am
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিল্মের মানুষদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে ২০২১ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বোকো হারাম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতির পিঠে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে…