The Dhaka Times Desk অ্যামেরিকা এবং এর মিত্র দেশ সমূহ ইতোমধ্যে সিরিয়া আক্রমণের বিষয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত। ইতোমধ্যে গোটা মধ্যপ্রাচ্য শাব্দিক অর্থেই মহারণের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। অভিযোগ সিরিয়ার সরকার সে দেশে সাধারণ নাগরিক হত্যা করছে। চলুন জেনে নেয়া যাক যে সকল সম্ভাব্য অস্ত্রশস্ত্র এবং পন্থা অবলম্বন করে অ্যামেরিকা এবং এর মিত্ররা সিরিয়া আক্রমণ করেতে পারে।
অ্যামেরিকা সহ এর মিত্র দেশ পাশাপাশি বড় দুই রাজনৈতিক শক্তি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এক যোগে সিরিয়া সরকারের উপর হামলা করার বিষয়ে একমত। এক্ষেত্রে ইতোমধ্যে অ্যামেরিকা ভূমধ্য সাগরে বিশেষ যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার অবশ্য তাদের পার্লামেন্টে সিরিয়া অ্যাটাক ইস্যুতে একটি বিল এনেছিল সেই বিল পার্লামেন্ট সদস্যরা নাকচ করে দেয়াতে যুক্তরাজ্য সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে পারবেনা এক্ষেত্রে অ্যামেরিকা, ফ্রান্সের সাথে ন্যাটো যৌথ বাহিনী হয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে তাঁরা।
যে সকল পন্থা এবং অস্র ন্যাটো বাহিনী সিরিয়া যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেঃ
ন্যাটো বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যের বিমান ঘাঁটি সমূহ ব্যবহার করতে পারেঃ সিরিয়া আক্রমণের ক্ষেত্রে ন্যাটো বাহিনী সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহে অ্যামেরিকার ব্যবহারে থাকা বিমান ঘাঁটি সমূহ ব্যবহার করতে পারে। অ্যামেরিকা সাইপ্রাসে অবস্থিত তাদের বিমান ঘাঁটির শক্তি সম্পূর্ণ রুপে সিরিয়া যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া এক্ষেত্রে তুরস্ক অ্যামেরিকাকে সাহায্য করবে তাছাড়া সৌদিআরবের বিমান ঘাঁটি তো আছেই। কাতার এবং বাহারাইনে রয়েছে অ্যামেরিকার বিশেষ বিমান ঘাঁটি যা থেকে উড়ে গিয়ে সিরাকে গুঁড়িয়ে দেয়া তেমন কোন সমস্যাই হবেনা অ্যামেরিকার জন্য। ফ্রান্সও সৌদিআরবে অবস্থিত তাদের বিমান বহর সরাসরি সিরিয়া আক্রমণে ব্যবহার করতে পারে।
এবার আসি অ্যামেরিকা এবং তাদের মিত্র শক্তিরা আকাশ পথে যে সকল অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। অ্যামেরিকার রয়েছে এফ-১৬ বোমারু বিমান। যা নিমিষেই সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারকে গুঁড়িয়ে দিতে সমর্থ। এর সাথে যদি ব্রিটিশ টাইপুন জঙ্গি বিমান যুক্ত হয় তবে সেটা ক্ষয় ক্ষতির দিক দিয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে আরও অনেক বেশী। এসকল বিমান সরাসরি যেকোনো ভবন, স্থাপনা, আর্মি গ্রুপকে নিমিষেই মাটিতে গুঁড়িয়ে দিতে সমর্থ। এসকল যুদ্ধ বিমান আকাশ থেকে মাটি সব ক্ষেত্রেই আক্রমণ করতে পারে।
যুদ্ধ জাহাজ এবং সাবমেরিন আক্রমনঃ অ্যামেরিকা , ব্রিটেন, ফ্রান্স সবার যুদ্ধ জাহাজ এবং সাবমেরিন সমূহ ইতোমধ্যে ভূমধ্য সাগরে অবস্থান নিয়ে রেখেছে তাঁরা যেকোনো মুহূর্তে সিরিয়া আক্রমণ করতে প্রস্তুত। এসকল যুদ্ধ জাহাজে রয়েছে ভয়ংকর সব ক্রুজ মিসাইল এসকল মিসাইল ১,০০০ মেইল দূরে গিয়েও শত্রুর আস্তানা ধ্বংস করে দিতে পারে। অ্যামেরিকা এবং এর মিত্র দেশ সমূহের ক্রুজ মিসাইল বিষয়ক আরও বিস্তারিত ক্ষমতা জানতে পারবেন here.
পেট্রিওট মিসাইলঃ এই মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে অ্যামেরিকা এবং তাঁর মিত্র দেশ সমূহ সিরিয়া মিশনে পেট্রিওট মিসাইল ব্যবহার করতে পারে, পেট্রিওট মিসাইল সাধারণত শত্রুর থেকে নিক্ষেপকৃত বেলাস্টিক মিসাইলকে আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। সিরিয়া সরকারের কাছে বেশ কিছু দূরপাল্লার বেলাস্টিক মিসাইল রয়েছে যা যুদ্ধে নামলে শত্রুর উপর ব্যবহার করতে পারে সিরিয়ান আর্মি। সেক্ষেত্রে এসব পেট্রিওট মিসাইল কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
Source: পপসি।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২, ২০১৩ 2:40 pm
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি বিষয় হলো সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালেই মুক্তির কথা ছিল এম রাহিম পরিচালিত সিয়াম আহমেদ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশাল গোলাকৃতি একটি বেলুনের ভিতর লেহঙ্গা পরে রয়েছেন এক বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি দুধ কোন সময় খাচ্ছেন ও কতোটুকু খাচ্ছেন, তা জানা…