The Dhaka Times Desk নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই মতামত নিবন্ধে পুটিন আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, সিরিয়ায় সামরিক হামলা হলে সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপকতা আরো বাড়বে।
সিরিয়া ইস্যুতে মার্কিন রাজনীতিক ও জনগণকে উদ্দেশ্য করে নিবন্ধ লিখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই মতামত নিবন্ধে পুটিন আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, সিরিয়ায় সামরিক হামলা হলে সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপকতা আরো বাড়বে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অনুধাবণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আসলে গণতন্ত্রের মডেল নয় বরং দেশটি পাশবিক শক্তি নির্ভর। খবর বিবিসির।
অপরদিকে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে জেনেভাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র মস্কো প্রস্তাব দিয়েছে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার আগে সেগুলো আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। প্রস্তাবে আংশিক সমর্থন জানিয়েছে সিরিয়া। এর পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়ায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ওই নিবন্ধে পুটিন বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মার্কিন জনগণ ও তাদের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে। পুটিন জাতিসংঘকে সতর্ক করে বলেন, যদি প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে যায় এবং নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি না নিয়ে সামরিক হামলা চালায় তাহলে জাতিসংঘকে তার পূর্বসূরী লিগ অব নেশনের ভাগ্য বরণ করতে হবে।
ভ্লাদিমির পুটিন আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান দল, পোপসহ ধর্মীয় নেতাদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও যদি আমেরিকা সিরিয়াতে হামলা চালায়, তাহলে এর পরিণাম ভোগ করবে নিরপরাধ মানুষজন। একই সঙ্গে সংঘাতের সীমা সিরিয়া সীমান্ত থেকে আরো বহু দূরে গিয়ে পৌঁছবে। তিনি বলেন, সামরিক হামলা সহিংসতা বাড়াবে এবং সন্ত্রাসবাদের ব্যাপকতা বাড়াবে। এটি ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানে যে বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টা চলছে তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। ইসরাইল- ফিলিস্তিন সংকট, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল করবে। পুটিন আরো বলেন, সিরিয়া সরকারকে সুরক্ষা দিচ্ছে না রাশিয়া ‘বরং আন্তর্জাতিক আইনকে’ রক্ষা করছে দেশটি। তিনি পুনরায় বলেন, সিরিয়ায় ২১ আগস্ট সম্ভবত সরকারি বাহিনী গ্যাস হামলা করেনি। ওই দিন বিদ্রোহীরা গ্যাস হামলা চালিয়ে তাদের শক্তিশালী মিত্রদের সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ চালানোর জন্য উস্কে দিতে চেয়েছিল। এমনও খবর বেরিয়েছে জঙ্গিরা আরো একটি হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং সেটি ইসরাইলে। এমন খবর দিয়েছে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম।