Dhaka Times Desk Every Friday we organize short world news with all the interesting news of the world. Like every week, today there are some news happening in the world - which we may never have known.
টেলিভিশনের রেলগাড়ি!
মানুষের খেয়াল ও কাজকর্ম কখনও খুব উদ্ভট ও আশ্চর্যের হয়ে থাকে। ইউরোপের লিথুয়ানিয়ার (খরঃযঁধহরধ) ভিলনিয়াস (ঠরষহরঁং) এলাকার নাগরিকরা তেমনি এক আজব কাজ করছেন। তারা তৈরি করেছেন টেলিভিশনের রেলগাড়ি। সব নাগরিক তাদের পুরাতন টেলিভিশন দান করে দিয়েছেন ভিলনিয়াস মিউজিয়ামকে। আর সেগুলো দিয়ে তৈরি হয়েছে ৩,১৬৫ বর্গমিটারের টেলিভিশনের সারি। এ পর্যন্ত সেখানে রয়েছে ২,৯০৩টি টেলিভিশন। বর্তমানে আরও টেলিভিশন সংযোজিত হচ্ছে। কাজ শেষ হলে শিগগিরই নতুনভাবে এটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।
হাসিমুখো পোকা
হাসিমুখো পোকা অদ্ভুত একটি পতঙ্গ। এটি আমাদের ঝিঁ-ঝিঁ পোকা জাতীয়। তবে এর ডাক শুনলে মনে হবে কোন মানুষ খিলখিল করে হাসছে। স্থানীয় মানুষজন এতদিন এই হাসি শুনে ভয় পেত আর নানা ভৌতিক গুজব ছড়াত। তবে গত জুন ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাকাডেমি অব সাইন্স এবং ফিলিপাইনের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মিলে এই হাসির রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে এ পোকার সন্ধান পান। ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের মাইন্ট বানা- আগ্নেয়গিরির প্রায় ২,১৫৬ মিটার উচ্চতায় এই অদ্ভুত হাসিমুখো পোকা পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানী দল সেখানে আরও কিছু অদ্ভুত মাকড়সা পেয়েছেন। সদ্য আবিষ্কৃত এসব অদ্ভুত প্রাণীদের বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
যাদের খোঁজ মেলেনি আজও ঃ
চার্লস নানগিজার ও ফ্রাঙ্কোইজ কোলি, ১৯২৭
আকাশ পথে প্যারিস থেকে নিউ ইয়র্ক। মাঝে পড়ে উত্তাল আটলান্টিক সমুদ্র। এখন প্রতিদিন এ পথে উড়োজাহাজের আনাগোনা হলেও ১৯২৭ সাল পর্যন্ত তা ছিল স্বপ্নের মতো। কে আগে উড়ালপথে আটলান্টিক পাড়ি দেবে তা নিয়ে চলছিল দারুণ প্রতিযোগিতা। আর এ সম্মান অর্জন করেছিলেন চার্লস লিন্ডবার্গ। কিন্তু এ সাফল্যের কিছুদিন আগেই এক মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা হয় ফ্রান্সের পাইলটদের মধ্যে। প্যারিস থেকে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিলেন দুই পাইলট। চার্লস নানগিজার এবং ফ্রাঙ্কোইজ কোলি। কিন্তু নিউ ইয়র্ক পৌঁছা হয়নি তাদের। মাঝপথেই হারিয়ে যান তারা। সমুদ্রে কিংবা পথের পাহাড়ি বনাঞ্চলে খুঁজেও উড়োজাহাজ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি এই দুই পাইলটের মৃতদেহ।
গ্লেন মিলার ১৯৪৪
ডিসেম্বর ১৯৪৪। ক্রিসমাস-এর দশ দিন আগে এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট উড়োজাহাজে ফ্রান্সে পাড়ি দিচ্ছিলেন গ্লেন মিলার। সেই যাত্রার শেষ কোথায় জানা যায়নি কোনদিন। আমেরিকান এই বিখ্যাত জ্যাজ শিল্পীর কোন হদিসও পায়নি কেউ আর। ধারণা করা হয়, জার্মানের কোন বোমারু উড়োজাহাজের আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যায় তার জাহাজটি। তার ভাগ্যে যাই ঘটুক, গ্লেন মিলারের অন্তর্ধান আমেরিকান সঙ্গীত জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।