The Dhaka Times Entertainment Desk বাংলাদেশের স্মরণকালের কলংকজনক অধ্যায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রায় নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সমালোচনা করেছে। তারা বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।
সংবাদ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিডিআর বিদ্রোহের বিচারে ১৫২ জনের বিরুদ্ধে যে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে তা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। এ রায়ের মাধ্যমে সুবিচার করা হয় নি। যদি এই রায় কার্যকর করা হয় তাহলে তা হবে ১৫২টি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। একথা বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। খবর দৈনিক মানবজমিন।
‘বাংলাদেশ: ডেথ সেন্টেন্সেস ফর ১৫২ মিউটিনিয়ারস আর এ ফারদার ইনজাস্টিস’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেছেন। এই বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআরে যে অন্যায় হত্যাকাণ্ড, জিম্মি করা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল তার দায়ে অভিযুক্ত কয়েক শ’ জওয়ানের মধ্য থেকে ১৫২ জনকে ৫ই নভেম্বর ওই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর আগেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ওই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের সুষ্ঠু বিচার করার আহ্বান জানিয়েছিল।
প্রদত্ত বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের উপ-পরিচালক পলি ট্রুস্কট বলেন, ২০০৯ সালে যে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছিল তা নৃশংস। এ ঘটনায় অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার এর একটি ইতি টানতে চায় তা বোঝা যায়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মাধ্যমে দুর্ভোগকে শুধুই জটিল করে তোলা হবে। বেসামরিক আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসনের প্রতি আস্থা পুনঃস্থাপনের একটি সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। এসব মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে তাই বলা যায়- এর পরিবর্তে নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নেয়ার উদ্দেশ্যে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে মনে হয়। মৃত্যুদণ্ড হলো একটি নিষ্ঠুর, অমানবিক ও মর্যাদাহানিকর শাস্তি।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিডিআর সদর দপ্তরে ব্যাপক বিদ্রোহ দেখা দেয়। নতুন নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা নেয়ার ঠিক দু’মাসের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। দ্রুত সেই বিদ্রোহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহীরা ৬ বেসামরিক ব্যক্তি, ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সেনা সদস্য ও ৯ জওয়ান সহ কমপক্ষে ৭৪ জনকে হত্যা করে। এই বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের ৩৩ ঘণ্টা সময় লাগে। বিদ্রোহে ভূমিকা থাকার অভিযোগে বিডিআরের কয়েক হাজার সদস্যকে আটক করা হয়। ২০০৯ সালেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষ্য যোগাড় করে। আটক ব্যক্তিদের অনেককে, হতে পারে কয়েক শ’, নির্যাতন করা হয়। অনেককে কয়েক সপ্তাহ বা মাস কোন আইনজীবীর সহায়তা দেয়া হয় নি। আটক বিডিআর সদস্যরা নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তার কয়েকটি পদ্ধতি প্রামাণ্য হিসেবে তুলে ধরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। নির্যাতনের পদ্ধতি হিসেবে বেছে নেয়া হয় ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটানো, প্রহার, অণ্ডকোষে চাপ দেয়া, নখের নিচ দিয়ে সূচ প্রবেশ করানো এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়া। ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এসব নির্যাতনে নিরাপত্তা হেফাজতে কয়েক ডজন বিডিআর সদস্য মারা গেছেন। বিডিআর বিদ্রোহের পর বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম পাল্টে নতুন নাম দেয়া হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ট্রুস্কট বলেছেন, অনেকে এই ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে সুবিচার পায় তা নিশ্চিত করার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে সকল মৃত্যুদণ্ড শিথিল করতে হবে। এটা হবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর এই খবরটি বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
This post was last modified on নভেম্বর ৭, ২০১৩ 10:55 am
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজকাল ৮ থেকে ৮০ সবার হাতেই স্মার্টফোন। এর সুবিধা যেমন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান প্রজন্মের তারকা ফারহান আহমেদ জোভান এবং তানজিন তিশা জুটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন যে, ‘ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি একটি জঙ্গলের রাস্তার। সেই রাস্তায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।…