The Dhaka Times Desk পৃথিবীতে কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে চলা বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় জীবনের নানা রকমের ঝঞ্ঝাট এড়াতে বিভিন্ন প্রাণী নিজেদের বিভিন্নভাবে বদলে নিয়েছে। যেমন শত্রুকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য কোবরা সাপেরা নিজেদের ফণাকে ফুলিয়ে রাখে। স্কাঙ্ক নামে আমেরিকার এক ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী বিচ্ছিরি গন্ধ ছড়িয়ে শত্রুকে দূরে সরিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শত্রুদের দূরে সরিয়ে হট্টগোলের ঝামেলা এড়াতে মধ্য আমেরিকার এক ধরনের ইঁদুরেরা গান গেয়ে ওঠে।
আলস্টোন সিংগিং মাউস বা ছোট লেজবিশিষ্ট গায়ক ইঁদুরদের বাস মধ্য আমেরিকার মেক্সিকো, কোস্টারিকা এবং পশ্চিম পানামা এলাকার ক্লাউড ফরেস্ট বা কুয়াশাচ্ছন্ন বনগুলোয়। ‘আমেরিকান ন্যাচারিলস্ট’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার প্রধান লেখক এবং ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ব্রেট প্যাসচ বলেন, “পুরুষ ইঁদুরেরা প্রজননের সময় সঙ্গী খুঁজতে থাকা অন্যান্য প্রতিযোগীদের মাঝে নিজের উপস্থিতি ঘোষণা করার জন্য এই গান ব্যবহার করে।”
এছাড়া একই বনে চিরকি সিংগিং মাউস নামের প্রায় কাছাকাছি প্রজাতির আরেক ধরনের ইঁদুরের বসবাস। এই দুই প্রজাতি একে অপরকে নিজেদের বাসস্থান থেকে দূরে রাখার জন্য গান গেয়ে থাকে। এর মাধ্যমে পরষ্পরের মধ্যে সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। চিরিকি সিংগিং মাউসেরা সাধারণত শীতল আবহাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু অবস্থানে থাকতে ভালোবাসে। অন্যদিকে আলস্টোন সিংগিং মাউসেরা কিছুটা উষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ করে বলে কুয়াশাচ্ছন্ন বনগুলোর নিচের দিকে তাদের অবস্থান। তবে মাঝে মধ্যে আলস্টোন গায়ক ইঁদুরগুলো নিজেদের নিম্নাঞ্চল থেকে ওপরে ওঠা শুরু করে, যদি না কোনো চিরিকি সিংগিং মাউস গান গেয়ে তাদের সীমানা সম্পর্কে সতর্ক করে না দেয়।
যেহেতু দুই ধরনের ইঁদুরই একই ধরনের খাবার খেয়ে থাকে, তাই এদের আলাদা অবস্থান না থাকলে, অন্তত খাবারের জন্যে হলেও সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়া এক রকম অবশ্যম্ভাবী। তাই এই গান গাওয়ার পদ্ধতি বেশ কাজে দেয় তাদের ক্ষেত্রে। তবে বলের কিছু কিছু জায়গায় চিরিকি সিংগিং মাউস এবং আলস্টোন সিংগিং মাউসদের একই সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়।
অন্য আরো অনেক প্রাণী এমনকি অন্য প্রজাতির ইঁদুরদের মধ্যেও এভাবে ডাক দিয়ে নিজেদের বাসস্থান সুরক্ষিত করার একটি প্রবণতা দেখা গেলেও ইঁদুরদের মধ্যে এই আলস্টোন সিংগিং মাউসদের ব্যবহৃত স্বরই সবচেয়ে জটিল হিসেবে বিজ্ঞানীদের কাছে ধরা পড়েছে। প্যাসচ এবং তার অন্যান্য সহ-গবেষকেরা কোস্টারিকার বন থেকে ফাঁদ পেতে কয়েকটি ইঁদুর ধরেন এবং তাদের ডাকগুলো রেকর্ড করেন। আর তখনই এই ইঁদুরগুলোর ডাকের বিশেষত্ব তাদের কাছে ধরা পড়ে। এদের ডাক অন্য ইঁদুরদের থেকে দীর্ঘস্থায়ী, এছাড়া ডাকে সুর সঙ্কেত বা নোটের সংখ্যাও একাধিক।
আচরণ পরীক্ষায় দেখা গেছে, চিরিকি ইঁদুরেরা আলস্টোন সিংগিং মাউস ছাড়া অন্য প্রজাতির কোনো প্রাণীও যদি তাদের এলাকায় অনুপ্রবেশ করে তাহলে ডেকে ওঠে। অন্যদিকে আলস্টোন সিংগিং মাউসেরা কেবলমাত্র নিজেদের প্রজাতির প্রাণিদের সতর্ক করার জন্যেই ডাকে। এছাড়া আলস্টোন সিংগিং মাউসেরা যদি কোনো চিরিকি মাউসের ডাক শোনে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা নিঃশব্দ হয়ে যায় এবং এলাকা ত্যাগ করে। নারী সঙ্গীকে লক্ষ্য করে দেয়া ডাকের উদ্দেশ্য হলো, সঙ্গীটি যেনো পুরুষের আরো কাছে আসে এবং প্রণয়-প্রত্যাশী অন্যান্য পুরুষদের চেয়ে তাকে প্রাধান্য দেয়। পুরুষ কোনো ইঁদুরকে লক্ষ্য করে ডাক দেয়ার অর্থ মানে এলাকা থেকে কেটে পড়াই ভালো.
References: National Geographic, লাইভ সাইন্স, Wikipedia
This post was last modified on অক্টোবর ১৪, ২০১৩ 5:36 pm
The Dhaka Times Desk The garment is roughly understood as the thing he is spreading,…
The Dhaka Times Desk good morning Sunday, 16 June 2024 AD, 2 Ashadh 1431…
The Dhaka Times Desk Vegans do not eat animal protein. Milk, curd, ghee, butter everything…
The Dhaka Times Desk American technology giant Google is constantly introducing new features for users…
The Dhaka Times Desk Fans have been waiting for the popular crime-drama series 'Mirzapur 3' for a long time.
The Dhaka Times Desk Today is the last day of Jaishtha in Bengali calendar. Today is 1st Ashad ie…