The Dhaka Times Desk সাধারণত ফেসবুকে ভিডিও পাবলিশের ব্যাপারে সেরকম কোনো নীতিমালা নেই, ফেসবুকে যেকোনো ভিডিও পাবলিশ করা যায় সেটা যতো ভায়োলেন্সই হোক! আর ঠিক এ ব্যাপারটির ওপরেই ক্ষোভ ঝাড়লেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন.
ক্যামেরুন টুইটারে লিখেছেন যে, এই ভিডিওগুলোর ব্যাপারে ফেসবুক কতৃপক্ষ একদমই নীরব। কোনোরকম ওয়ার্নিং ছাড়াই ফেসবুকে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে এসব ভিডিও, এটা খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়!
তিনি আরও বলেছেন, “বিশেষ করে শিরোচ্ছেদের ভিডিওগুলো কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ হয়ে যাওয়াতে যেসব অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন তাদের প্রতি ফেসবুককে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে!”
যদি এসব আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হতেই থাকে এবং ফেসবুক কোনোরকম ব্যবস্থা না নেয় তবে আমরা ফেসবুককে ব্লক করে দিতে বাধ্য হব বলেও মন্তব্য করেছেন ক্যামেরুন।
অপরদিকে অবশ্য ফেসবুকের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ফেসবুক এমন একটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেখানে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এমনকি যে কোনও বিতর্কিত বিষয়েও তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা মানুষের সাথে ভাগ করে নিতে চায়। যেমন, মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়, জঙ্গিহামলা কিংবা অন্য কোন নৃশংস ঘটনাও এবং সেই কারণে ফেসবুকে এই ধরনের ঘটনা ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে। অনেকে এর সমালোচনা করলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছে।
প্রধানমন্ত্রীর টুইটকে ইংগিত করে তিনি আরো বলেন, কোটি মানুষ নিজের অনুভূতি প্রকাশের সাথে সাথে অন্যদের অধিকার ও অনুভূতি সম্মান কিভাবে করবেন সেটা নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় এবং ফেসবুক সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবগত রয়েছেন।
ফেসবুক তাদের নিজস্ব ব্যাখা দিলেও মানবিক দৃষ্টি থেকে, সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার দৃষ্টি থেকে, শ্লীলতা, রুচি ও কিশোর মনের সংবেদনশীলতার প্রশ্নে এই সিদ্ধান্ত কতটুকু সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। ঠিক যে কারণেই বিশেষজ্ঞরা জনমনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া বা ঘৃণার সৃষ্টি করে এমন বিষয়ক ভিডিও আপলোড করা থেকে বিরত থাকতে ফেসবুককে আরও সচেষ্ট হতে হবে এমন মত দিয়েছেন।
Reference: BBC