শুরুতেই কটি উইকেট পরে না গেলে আজকেও বাংলাদেশ জিততে পারতো, এই আফসোস নিয়ে ১৫ রানের পরাজয় মেনে নিলো টাইগাররা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজকে কিউইদের ৫ উইকেটে ২০৪ রাবের বিনিময়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তোলে বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হামিশ রাদারফোর্ডের সঙ্গে অ্যান্টন ডেভিসিচের ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি নিউ জিল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়। এক প্রান্তে অভিষিক্ত ডেভসিচ ঝড়ো গতিতে রান তুললেও অন্য প্রান্তে রয়ে সয়ে খেলছিলেন রাদারফোর্ড।
অষ্টম ওভারে সোহাগ গাজীর বলে আউট হন রাদারফোর্ড। এর কিছুক্ষণ পর ডেভসিচকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। অবশ্য শামসুর রহমানের হাতে ধরা পড়ার আগে ডেভসিচ ৩১ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা দিয়ে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যান।
ডেভসিচের আক্রমণে ১০ ওভারে ৮৬ রান তোলা কিউইদের রানের গতি আরও তীব্র করে তোলেন কলিন মানরো। অভিজ্ঞ রস টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে শেষ ১০ ওভারে যোগ করেন আরো ১১৮ রান। আঠারোতম ওভারে টেইলর (২৮) বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন মানরো। তার ৩৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা।
বড় রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ বলেই নেই তিনটি উইকেট। একটা করে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই সাজঘরে ফিরেছেন প্রথম তিন ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও মমিনুল হক। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দারুণ ব্যাটিং দিয়ে জয়ের আশা বেশ ভালোমতোই জাগিয়ে তোলেন, সাথে যোগ্য সঙ্গী ছিলেন নাসির।
নাসির হোসেন আসার আগে চতুর্থ উইকেটে নাঈম ইসলাম আর মুশফিকুর রহিম ৪৩ রান যোগ করেছিলেন মাত্র ২০ বলে। পঞ্চম ওভারে নাঈম সাজঘরে ফিরলেও কিউই বোলারদের উপর চড়াও হয়েই ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন মুশফিক ও নাসির হোসেন। নাঈম ইসলাম অবশ্য আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১০টি বল। তিনটি চার ও একটি ছয় মেরে আউট হয়েছেন ১৮ রান করে।
১১তম ওভারে কোরে অ্যান্ডারসনের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে অবশ্য ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন মুশফিক। পরের ওভারে নাসির ফিরেছেন ২৮ রান করে। টানা দুই ওভারে এই দুজনেরই উইকেট হারিয়ে কিছুটা পিছনে হটে যায় বাংলাদেশ, যেখান থেকে আর জয়ের দেখা পেতে পেতেও পেলো না বাংলাদেশ।
এরপরও আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সোহাগ গাজী। সপ্তম উইকেটে তাদের ৫৭ রানের চমৎকার জুটি অস্বস্তিতে ফেলে দেয় অতিথিদের। তবে তিন বলের মধ্যে সোহাগ (১৫ বলে ২৩) ও মাহমুদুল্লাহর (২৫ বলে ৩৪) বিদায়ের পর আর পেরে উঠেনি বাংলাদেশ।
Summary Score:
New Zealand:: ২০ ওভারে ২০৪/৫ (ডেভসিচ ৫৯, রাদারফোর্ড ১৭, টেইলর ২৮, মানরো ৭৩*, অ্যান্ডারসন ১৮, রঞ্চি ০, ম্যাককালাম ০*; আল-আমিন ২/৩১, রাজ্জাক ১/১৯, জিয়া ১/২৬, সোহাগ ১/৩০)
Bangladesh: ২০ ওভারে ১৮৯/৯ (শামসুর ৪, জিয়া ৬, মুমিনুল ৯, মুশফিক ৫০, নাঈম ১৮, নাসির ২৮, মাহমুদুল্লাহ ৩৪, সোহাগ ২৪, মাশরাফি ৭*, রাজ্জাক ০, আল-আমিন ৫*; সাউদি ৩/৩৮, অ্যান্ডারসন ২/২১, ম্যাককালাম ১/১৮, মিলস ১/৩২, ম্যাকক্লেনাগান ১/৪৫)