The Dhaka Times Desk যে কথা মনে হলে হয়তো এখনও সবার গায়ের লোম খাড়া হয়ে ওঠে। সেই সাভার ট্রাজেডিতে যারা অঙ্গ হারিয়েছিলেন তাদের ১২ জনকে কৃত্রিম অঙ্গ দেওয়া হয়েছে।
স্মরণকালের ভবন ধসের ঘটনা- সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় হাত অথবা পা হারানো ১২ জনকে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনে সহায়তা করেছে ব্র্যাক। গতকাল শনিবার শেরেবাংলা নগরস্থ ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেইস সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের এক জনকে দুটি কৃত্রিম পা ও ১১ জনকে কৃত্রিম হাত প্রদান করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সাথে যৌথ উদ্যোগে এ কৃত্রিম অঙ্গ প্রদান করেছে বেসকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। কৃত্রিম অঙ্গ ছাড়াও ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ১২ জনের প্রত্যেককে আর্থিক সহায়তা হিসাবে এক লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও করে দেয়া হয়েছে। এই ডিপোজিটের মাধ্যমে তারা আগামী ৫ বছর প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে তুলতে পারবেন। পাঁচ বছর পর পুরো টাকাই তারা পেয়ে যাবেন।
ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেইস সেন্টারে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. জুলফিকার আলী লেনিন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভি, ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন আহমেদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, ব্র্যাকের দুর্যোগ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক ড. বাবর কবীর প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠানে ডা. জুলফিকার আলী লেনিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাভুক্তির পর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে তাদের আর্থিক সহায়তারও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি এরকম মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অধ্যাপক খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভি তার বক্তৃতায় বলেন, ব্র্যাক ও আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় এই ১২ জনের জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার মনোবল আরও বেড়েছে। সমাজের বিত্তবানদের তিনি এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানের অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমরা চাই না এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটুক, তবে বিপদের সময় এদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত। বক্তারা তাদের বক্তব্যে ১২ জনকে কৃত্রিম অঙ্গ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত থেরাপি নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
উল্লেখ্য, সারা জীবনের জন্য যারা আজ পঙ্গু হয়েছেন তারা এই সহায়তায় কিছুটা হলেও তাদের জীবনের চলার পথ সহজ করেছে। এ ধরনের উদ্যোগ আরও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেওয়া উচিত বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।