The Dhaka Times Desk প্রাত্যহিক জীবনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার বর্তমানে অপরিহার্য। চাইলেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। প্রযুক্তির এই ব্যাপক উৎকর্ষ একদিকে যেমন সুফল বয়ে এনেছে, তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহারে রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। একটি গবেষণায় জানা গেছে, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে দুঃচিন্তায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যায়।
Kent State University এর ৫০০ ছেলে এবং মেয়ে একটি সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে এবং সেখান থেকে উপরোক্ত আশংকার ফলাফল জানা যায়। তবে কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দুঃচিন্তায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি – এমন প্রমাণ পাওয়া গেলেও ধারণা করা যায় প্রত্যেক বয়সী মানুষদের মধ্যে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কুপ্রভাব পাওয়া যাবে।
গবেষণার সময় ছাত্র – ছাত্রীরা দিনের প্রায় ৫ ঘন্টা অর্থ্যাৎ ২৭৯ মিনিট মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন এবং ৭৭ টি মেসেজ আদান প্রদান করেন। ফোনে কথা বলা, ফেসবুক ব্যবহার করা, টেক্সটিং, গেমস খেলা, মেইল চ্যাক করা এসব কাজ উপরোক্ত সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, একমাত্র গান শোনা এইক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় ছাত্র – ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভ্যাসের সাথে তাদের দুঃচিন্তাগ্রস্থ হওয়া, সন্তুষ্টি হওয়ার সাধারণ অনুভুতি সমূহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণার জানা যায়, যারা অতিরিক্ত পরিমাণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা যারা মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করে তাদের চেয়ে বেশি দুঃচিন্তায় আক্রান্ত হয়।
Principal Researcher Andrew Lepp এর বক্তব্য থেকে জানা যায়, ছাত্র – ছাত্রীরা কেন দুঃচিন্তায় আক্রান্ত হয় সেটা জানার দরকার ছিলো। ক্রমাগত মোবাইল ফোনের সাথে সংযুক্ত হওয়ার ফলে এই ধরনের সমস্যার দায়বদ্ধতা দেখা যায় অনেকের মধ্যে। আবার অনেকে জানে না কিভাবে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে এড়িয়ে নেওয়া যায়।
মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং দুঃচিন্তার মধ্যকার সরাসরি কারণ – প্রতিক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক গবেষকরা প্রমাণ করতে না পারলেও মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের সাথে অল্পবিস্তর দুঃচিন্তাগ্রস্থ হওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
সুতরাং যারা সারাদিন মোবাইল ফোনের সাথে সময় কাটান সুন্দর এবং দুঃচিন্তামুক্ত জীবন যাপন করতে তাদের উচিত অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার অভ্যাস পরিহার করা।
Reference: The TechJournal