The Dhaka Times Desk প্রিয় অভিনেতা খালেদ খানকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। আজ বিকেলে দাফন করা হবে তার নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জপুরে।
আজ শনিবার সকালে প্রথমে প্রয়াতের কর্মস্থল ধানমণ্ডির ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে নেয়া হলে সহকর্মীরা শেষ বিদায় জানায় তাকে। ১৭ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন তিনি। কোষাধ্যক্ষের পাশাপাশি শিক্ষকতাও করতেন তিনি। এরপর তাঁকে নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা হবে।
নামাজে জানাজা শেষে খালেদ খানের লাশ নিয়ে যাওয়া হবে টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে, সেখানেই সমাহিত হবেন এই বর্ষিয়ান অভিনেতা।
দীর্ঘদিন মোটর নিউরন ও হৃদরোগে ভুগে ৫৫ বছর বয়সে গতকাল শুক্রবার রাতে মারা যান নব্বইয়ের দশকের মঞ্চ ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা খালেদ খান। এ বছর শিল্পকলা একাডেমি নাট্যকলায় পুরস্কারের জন্য খালেদ খানকে মনোনীত করেছিল। সেই পুরস্কার হাতে নেয়ার আগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন এই শিল্পী।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন খালেদ খান। ১৯৭৫ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে মঞ্চনাটকে খালেদ খানের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া এই শিল্পী অভিনয় শুরু করেন আশির দশকে, মঞ্চনাটকের মাধ্যমে। প্রয়াত নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’ ও ইমদাদুল হক মিলনের ‘রূপনগর’ নাটকে অভিনয় করে সে সময় দারুণ জনপ্রিয়তা পান খালেদ খান।