A.B.M. Shariful Alam আইন শৃংখলা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো তা শিকার করেছেন পুলিশের আইজি। আর সনদপত্র দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের কোথাও কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে না দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে দেশের কোথাও চাদাঁবাজি ও ছিনতাইয়ের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বাজার পরিস্থিতিও অনেক ভালো। সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা খুব ভালো। ( ৯ আগষ্ট / ২০১২ প্রথম আলো)
স্বরাষ্টমন্ত্রী সাহারা খাতুনের এই বক্তব্যকে যদি তাঁর মাপকাঠি অনুযায়ী সঠিক ধরে নেই, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকার বস্তা দিয়ে বালিশ বানিয়ে মাথার নিচে দিয়ে নিশ্চিন্তে রাস্তায় ও ফুটপাতে ঘুমাতে পারবেন নিঃসন্দেহে! তাহলে রাজধানীবাসিদের ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গেলে ঘরে তালা লাগিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন কেন? ( ৯ আগষ্ট / ২০১২ প্রথম আলো) এতে ঘরমুখো মানুষকে শুধু হতাশাই নয় কিছুটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তাই রাজধানীর জনশূন্য খালি মাঠে অপরাধিরা সেঞ্চুরি করেছেন। যেখানে ঘরের গ্রীল কেটে মানুষকে খুন করা হচ্ছে, ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতি হচ্ছে, দিনে দুপুরে রাস্তাঘাটে ও শপিংমলগুলোতে ছিনতাই ঘটনা অহরহ ঘটছে। এমনকি ভিক্ষুককে হত্যা করে তাঁর ভিক্ষার টাকা ছিনতাই এর ঘটনা রাজধানীবাসিকে করেছে উদ্বিগ্ন। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের আশ্বাসের বাণী, আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী কতটুকু কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন, সেটিও এখন প্রশ্নবিদ্ধ! আগে প্রিন্টিং ও ইলেকক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোতে শুনেছি ও দেখেছি ছিনতাইয়ের ঘটনা ও ছবি। ছবিতে ছিনতাই কারীদের দু’পাশে বীরশ্রেষ্ঠ ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দুই পুলিশ সদস্য, যেন সেলুট দেওয়ার অপেক্ষায়! র্যাব, পুলিশ ও ডিবির সদস্য পরিচয় দিয়ে ছিনতাই হচ্ছে অহরহ। বাস্তবে র্যাব, পুলিশ ও ডিবির সদস্য যে ছিনতাই এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়, সে কথাটিও এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই তাঁদের সাহসে সাহসী হয়ে ছিনতাইকারীরা আরও তিন ধাপ এগিয়ে একেবারে রেলের বগির ছাদের ওপর। অর্থাৎ ট্রেনের বগির ছাদেও যে ডাকাতি ও খুন হয়, তাই ঈদে ঘরমুখো মানুষকে ফেলে দিয়েছিল ভীষণ দুশ্চিন্তার মধ্যে। ঢাকা-রাজশাহী রেললাইনের পাশে গাজীপুর সদর উপজেলার কাউলতিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ আগষ্ট /২০১২ রোজ বৃহস্পতিবার তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছেন রেলওয়ের পুলিশ। এই রেললাইনের পাশে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাত দিনে এই নিয়ে বার জনের লাশ এবং গত এক মাসে ৪৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ের পুলিশ। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় ছরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন মাহমুদুল হাসান চৌধুরী (৪৮) ( ১০ আগষ্ট / ২০১২প্রথম আলো), এই বিভৎস বিষয়গুলো সরকারের কী দৃষ্টি আকর্ষণ করে না? যদি দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন কি ভাবে দাবি করে বলেন, বর্তমানে দেশের কোথাও কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে না!
শান্তি-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্য হ’ল পুুলিশ ও র্যাব। খোদ পুুলিশ ও র্যাবের সদস্য বিরুদ্ধে যদি ছিনতাইয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে ছিনতাইকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, এটাই কী স্বাভাবিক নয়? বেড়ায় যদি ক্ষেত খায় তবে ফসল রক্ষা করবে কে?
তাই চুরি-ডাকাতি, খুন-ধর্ষণ, মাদক ও চোরাচালান এতটাই মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে যে, তাদের ডিজিটাল পদ্ধতির কাছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর মান্ধাত্বা আমলের অপরাধ শনাক্তকারী যন্ত্রপাতি অপরাধিদের আরো দশ ধাপ উৎসাহিত করছে!
নিজ বেডরুমে সংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ড, ঝালকাঠির কিশোর লিমন এর পঙ্গুত্ব বরণসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা, সোহেল তাজের ভাগনেকে পুলিশের মামাগিরি ছোটানি, রামপুরায় গাড়ি পার্কিং এর বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে র্যাবের নির্যাতন, সরকারের বেপরোয়া পুলিশ বাহিনী কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন সহ সর্বপরি ঢাকা মেডিক্যালের শিক্ষানবিশ ডাক্তার কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়গুলো এ দেশের মানুষকে করেছে হতাশা এবং দেশবাসিও হয়েছেন নিরাস।
এ বিষযগুলো মাথায় না রাখার কারণে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যর্থ দায়ভার পোহাতে হচ্ছে এ দেশের জনগণকে। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কী কোন উপায় নেই? উপায় আছে কিনা জানিনা। ছোট্ট একটা গল্প বলছি… এক রাস্তায় রাত্রীকালিন নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব ছিল দুই পুলিশ সদস্যের । রাস্তায় পাঁয়চারি ও টহল দিতে দিতে দেখতে পায় দুই চোর এক বাড়ির সিদ কেটে চুরাই পণ্য মাথায় নিয়ে হেটে যাচ্ছে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে বাঁশিতে ফু দিয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করে দৌড়ে যায় দুই পুলিশ । চোর দু’টি দৌড়ে যায় দু’দিকে । পুলিশ দু’জনও দু’দিকে দৌড়ে যায় ওই চোর দু’টিকে ধরার জন্যে। কোন এক সময়ে এক পুলিশ একটি চোর ধরে ফেলে । চোর ধরা পড়ার পর বুঝতে পারে, পুলিশ সদস্যটি একজন লেডিস পুলিশ । তাই সুযোগ বুঝে চোরই উল্টো পুলিশকে ঝাপটিয়ে ধরে ফেলে। লেডিস পুলিশ চোরের বাস্তবতা বুঝে অনেক কষ্টে নিজেকে রক্ষা করে। হাফ ছেঁড়ে বেঁচে নিজেকে রক্ষা করার পর মনে হয় তাঁর সহকর্মির কথা। ঠিক তখনি মোবাইল করে তাঁর সহকর্মিকে বলেন, চোর ধরার প্রয়োজন নেই, তাড়াতাড়ি চলে আয় । উত্তরে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, চোরতো আমি ছেড়েই দিয়েছি কিন্তু চোরতো আমাকে ছাড়ছে না।
# এ.বি.এম. শরীফুল আলম: কবি, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট।
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি বিষয় হলো সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালেই মুক্তির কথা ছিল এম রাহিম পরিচালিত সিয়াম আহমেদ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশাল গোলাকৃতি একটি বেলুনের ভিতর লেহঙ্গা পরে রয়েছেন এক বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি দুধ কোন সময় খাচ্ছেন ও কতোটুকু খাচ্ছেন, তা জানা…
View Comments
Im thankful for the blog post.Really thank you! Fantastic.
Really enjoyed this article post.Much thanks again. Awesome.
Thanks again for the blog. Awesome.
MmT8fk Thanks-a-mundo for the article post. Awesome.
February 21st, 2011 at 9:17 am
Heya i'm for the primary time here. I came across this board and I find It truly helpful & it helped me out a lot. I am hoping to give one thing back and help others like you aided me.