The Dhaka Times Desk ৩৫ লাখ বিবাহিত নারী-পুরুষের উপরে NYU Langone মেডিকেল সেন্টারের চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে বিবাহিত নারী পুরুষরা বিধবা কিংবা তালাক প্রাপ্তাদের থেকে হৃদরোগের কম ঝুঁকিতে থাকেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ে করলে বা বিবাহিতদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। NYU Langone মেডিকেল সেন্টারের গবেষণায় পাওয়া গেছে, বিবাহিত নারী বা পুরুষ যাই হোক সবার ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি অন্য সাধারণ মানুষের থেকে ৫ শতাংশ কম। অপরদিকে বিধবা কিংবা অন্যান্য বিবাহবিচ্ছেদে আলাদা হওয়া দম্পতিদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেড়ে যায় ৩ শতাংশ।
এই গবেষণার সাথে সরাসরি কাজ করেছেন Dr. Jeffrey Berger, তিনি গবেষণার বিষয়ে বলেন, “যেসব মানুষের বিয়ে হয়েছে তারা একে অপরের ক্ষেত্রে নিজের নিজের আলাদা যত্ন নেন কিংবা একে অন্যকে নিজেদের যত্ন নিতে উৎসাহিত করেন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।”
বাস্তবিক পক্ষেও সমাজে দেখা যায় ও গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা অবিবাহিত বা যাঁদের স্ত্রী মারা গেছে বা স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে, তাঁদের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যসেবা বা পরামর্শ পান বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলারা।
গবেষকরা জানান, বিবাহিত নারী পুরুষের পেরিফেরাল ধমনি সংক্রান্ত জটিলতা অনেকটাই কমে যায়। পেরিফেরাল ধমনিতে সংক্রামণের হ্রাসের মাত্রা ১৯ শতাংশ কমে যায় বলেই দাবি করছেন গবেষকরা। পেরিফেরাল ধমনিতে সংক্রামণ হলে নারী পুরুষের পায়ে রক্ত সরবরাহ হ্রাস পায়। তাছাড়া গবেষকরা বলছেন, বিবাহিত নারী পুরুষের ক্ষেত্রে Vascular টিস্যুতে সংক্রামণও অনেকটা হ্রাস পায়।
এদিকে গবেষকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগের ঝুঁকি বিবাহিতদের কম হলেও ধূমপায়ীদের সবচেয়ে বেশি থাকে এবং ডিভোর্সি কিংবা বিধবাদের তার পরেই অবস্থান। বিবাহবিচ্ছেদ কিংবা বিধবাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, এরা পর্যাপ্ত বেয়াম কিংবা শারীরিক পরিশ্রম কম করে এতে করে স্বাস্থ্য বেড়ে যায় এবং মানসিক চাপ বাড়তি থাকে। এসব কারণেই ডিভোর্সি এবং বিধবাদের হৃদরোগ ঝুঁকি বেশি থাকে।
Source: Newsmaxhealth , Gazette