Categories: special news

The eco-friendly house invented is very useful for Bangladesh

The Dhaka Times Desk ব্রিটেনের এক প্রযুক্তিবিদ এমন একটি পরিবেশ বান্ধব ঘর উদ্ভাবন করেছেন যেটি বাংলাদেশের জন্য খুবই উপযোগী । তিনি সেখানকার যে প্রযুক্তির কথা অর্থাৎ গ্রীণ টেকনোলজির কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত সহজ এবং স্বল্প জায়গায় নির্মাণ করে বাস করা সম্ভব। খবর http://thetechjournal.com/ -এর।


সমপ্রতি এমন একটি ঘরের খবর দিয়েছে বিশ্বের নাম করা একটি তথ্য প্রযুক্তির ওয়েবসাইড দ্য টেকজার্নাল। এতে বলা হয়েছে, খুব কম সময়ের মধ্যে এমন একটি ঘর নির্মাণ করা সম্ভব যা আধুনিক এবং পরিবেশ বান্ধব। যদিও পোল্যান্ডে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট বাড়ি (যার প্রস্থ মাত্র ৪ ফিট) নির্মাণ করতে সময় লাগে এক মাসের মতো। সেই তুলনায় এই ঘর নির্মাণ করতে সময় লাগে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। সেই বাড়িটির নাম ‘মিনি হাউস’, তবে এটি নির্ভর করবে আপনার উদ্যোগের উপর। ওই খবরে বলা হয়েছে, একজন সুইডিস স্থপতি ও ডিজাইনার জোনাস এই ঘরের মূল স্থপতি। ২০০৮ সালে ব্রিটিশ নকশা পত্রিকা ‘ওয়ালপেপার’-এ ৫০ জন তরুণ স্থপতির মধ্যে জোনাস এর কর্মকাণ্ডগুলো প্রকাশিত হয় এবং তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।

প্রথাগতভাবে এই ঘর নির্মাণ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী যেমন কাঠ দিয়ে নির্মিত হলেও এক্ষেত্রে অত্যন্ত সহজ উপায়ে এই ঘর নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সহজ উপায়ে হলেও এই ঘরের মান হবে উন্নতমানের। আবার দেখতেও লাগবে সুন্দর। এই ঘর হবে খুবই সহজ এবং আধুনিক ঘর। উপযুক্ত ডিজাইনের ঘর। এই মিনি হাউসটি একটি বীথিকুঞ্জ প্রভৃতি লতাপাতা দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে থাকবে। থাকবে ১৫ স্কয়ার মিটার জায়গা দ্বারা তৈরি। অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত বিটুমিনের ছাদ, চিকন ফ্রেমের জানালা, দেওয়ালগুলো হবে প্রি-ফেব্রিকেটেড, একটি কমপেক্ট রান্নাঘর এবং বাথ মডিউল, একটি ছোট স্টোর রুম, এই ঘরের মেঝেগুলো হবে হার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি। এছাড়াও একটি চিমনি সঙ্গে হিটার সজ্জা এবং একটি সৌরশক্তি সজ্জা বিদ্যুৎ সরবরাহসহ আরও আধুনিক সব ব্যবস্থা। এর স্থপতি প্রতিষ্ঠান এসব সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে। এই ঘরগুলো যারা নির্মাণ করতে চান তারা পুরো প্যাকেজ হিসেবে কিনে নিয়ে শুধু তৈরি করলেই একটি আধুনিক মিনি হাউস নির্মাণ হয়ে যাবে। এই ঘর গ্রীস্মকালিন এবং শীতকালে উভয় সময়ই বাস উপযোগী।

কম খরচে, কম সময়ে বাংলাদেশের জন্য এরূপ ঘর নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। কারণ বাংলাদেশের এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে অর্থের অভাবে ঘর নির্মাণ করতে পারেন না। সেখানে এমন সহজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে। একদিকে কম অর্থে এটি নির্মাণ করা যাবে পক্ষান্তরে পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মাণ হবে কম জায়গায়।

উল্লেখ্য, এই ঘরের স্থপতি ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের জন্য চেম্বার “উদ্ভাবন পুরস্কার ২০০৮” জেতা ছাড়াও ২০০৮ সালে লণ্ডনের ১০০% প্রতিযোগিতায় জিতেছেন তিনি।

Related Posts

This post was last modified on ডিসেম্বর ২২, ২০১৪ 7:34 pm

Staff reporter

Recent Posts

There are 5 countries in the world that have 24 hours of daylight!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি বিশ্বের প্রায় জায়গাতেই ১২ ঘণ্টার দিন, ১২ ঘণ্টার…

% days ago

A truly wonderful landscape

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% days ago

What the research says: Is taking an ice bath really good?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরফপানিতে গোসল করা কী আদৌ ভালো? কেও কেও বলেন, শরীরে…

% days ago

Lemon water for weight loss needs to be mixed with a few other ingredients to get quick benefits

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ লেবুতে থাকা ফাইবারের কারণেই পেটভার হয়ে থাকে। অন্য কিছু…

% days ago

The smartphone will change the settings in the hands of the child

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজকাল ৮ থেকে ৮০ সবার হাতেই স্মার্টফোন। এর সুবিধা যেমন…

% days ago

Jovan-Tisha's new drama 'Couple of the Campus'

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান প্রজন্মের তারকা ফারহান আহমেদ জোভান এবং তানজিন তিশা জুটি…

% days ago