The Dhaka Times Desk শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সফর করবেন। তাঁর এ সফরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের শ্রম বাজার আবার চাঙ্গা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিগত ৫ বছরে আর যায়ই ঘটুক অন্তত শ্রম বাজারে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বিশেষ করে সৌদির বিষয়টি বার বার চলে আসে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর কারণে নাকি এমন অবস্থা। অনেককেই এমন কথা বলতে শোনা যায়। তবে এবার সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই যাচ্ছেন সৌদিতে। আর তাই বাংলাদেশের শ্রম বাজার আবার চাঙ্গা হবে এমনি ধারণা করা হচ্ছে।
আগমী মাসেই প্রধানমন্ত্রীর সৌদি সফর। এ বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছেন। যদি সব ঠিক-ঠাক থাকে তাহলে বাংলাদেশের শ্রম বাজারে সত্যিই সুবাতাস বইতে শুরু করেছে এটি বলা যায়। ওই সফরে শ্রম ইস্যু ও আরও বেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতা স্বাক্ষর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালে ২১৭ জন শ্রমিক প্রবেশের মাধ্যমে সৌদির শ্রমবাজার বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর পর সৌদি আরব বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজারে পরিণত হয়। এরমধ্যে ২০০৭ সাল ছিল সৌদি শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ওই বছর ২ লাখ ৪ হাজার একশ’ ১২ জন শ্রমিক নেয় সৌদি আরব। তারপরের ঘটনা সবার জানা। কমতে কমতে শূন্যের কোটায় চলে আসে সৌদি শ্রম বাজার। বাংলাদেশের নাগরিকদের কাজের নতুন ভিসিা, আকামা নবায়ন এবং পরিবর্তনও একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থা চলছে ২০০৯ সাল থেকে।
২০০৯ সালের শেষের দিকে এসে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া একেবারে কমিয়ে দেয় সৌদি। এমন কি বাংলাদেশের নাগরিকদের কাজের জন্য নতুন ভিসা, আকামা নবায়ন ও পরিবর্তনও বন্ধ করা হয়।
এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন করে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সে আশাকে করেছে উজ্জীবিত। সেীদিতে শ্রম বাজার চাঙ্গা হলে দেশের অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তাই প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছেন। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন শ্রম বাজারে আবার সুবাতাস বইবে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র মতে, সৌদিতে শ্রম বাজার উন্মুক্ত করণের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও আশাবাদী।